মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১১

বন্ধুর সঙ্গে ১৩ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ে !!!

বন্ধুর জন্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকা, মায়ের বকুনি, স্কুল ফাঁকি দিয়ে সিনেমায় যাওয়া। এসব ঘটনা বহু পুরনো। বন্ধুত্বকে টিকিয়ে রাখতে পৃথিবীর বহু মানুষ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তাও জানা মানুষের। কিন্তু বন্ধুত্বের বন্ধনকে পাকাপোক্ত করতে নিজের মেয়ে বন্ধুর সঙ্গে বিয়ে দেয়ার নজির বিরল। তবে এমনই এক অসম বিয়ের ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামে। ওই গ্রামের কৃষক আবদুল হামিদ তার স্কুল পড়–য়া কন্যা শাহীনা খাতুনকে বিয়ে দিয়েছেন তার বন্ধু আবদুস সাত্তারের সঙ্গে। সোমবার রাতে এ বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটে।

শাহীনা খাতুন ঝিকড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। একই গ্রামের মৃত আরজ আলীর ছেলে আবদুস সাত্তার পেশায় একজন আলু ব্যবসায়ী। ঝিকরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী জানান, বিদ্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী শাহীনার জন্ম হয়েছে ১৯৯৮ সালের ২৮ জুলাই। সে অনুযায়ী তার এখনো বিয়ের বয়স হয় নি।

স্থানীয়রা জানান, চল্লিশোর্ধ সাত্তারের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে তিনি একটি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু ৪-৫ বছর আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। হামিদ ও সাত্তার একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এ সম্পর্ককে স্থায়ী রূপ দিতে হামিদ তার মেয়েকে সাত্তারের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। ঝিকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান সাইদ জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে গোপনে এই অসম বিয়ের ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। কিন্তু এখন আর কিছুই করার নেই। আগে জানলে বাল্যবিয়েটি ঠেকানোর চেষ্টা করতেন বলে তিনি জানান।

বাগমারা থানার ঝিকড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মোস্তফা জানান, খবর পেয়ে তিনি কনের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। তবে সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায় নি। বর-কনেসহ বাড়ির সবাই ঈদের বাজার করতে শহরে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন-অর-রশিদ ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাল্যবিয়ের ঘটনা আগে থেকে জানলে সাধারণত আমরা বিয়ে বন্ধ করে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিই। কিন্তু বিয়ে হয়ে গেলে করার কিছু থাকে না।’ তবে কনে পক্ষের লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে আবদুস সাত্তারের সঙ্গে কনের পরিবারের কোনো সম্পর্ক ছিলো না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ