শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১১

ফাইনালের জন্য দল ঘোষনা করেছে আ.লীগ, খেলোয়াড় সংকটে বিএনপি


মগবাজার এক্সক্লুসিভ

কিছুদিন আগে বিএনপির হায়! কমান্ড আওয়ামী লীগের সাথে ফাইনাল খেলার প্রস্তাব দিলে সরকার দলের নেতারা তা সাদরে গ্রহণ করে। এর পরপরই দল ঘোষনা করে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলের একাদশ নির্বাচনে রীতিমত চমক দেন প্রধান নির্বাচক শামসুল হক টুকু।

দলটি ফাইনাল খেলার প্রস্তাব গ্রহণ করলেও খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই পুরো দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখে মাত্র ২ খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নামবে তারকা সমৃদ্ধ এ দল। ছাত্রলীগের অধিনায়কত্বে মাঠে থাকবে যুবলীগও। স্টান্ডবাই হিসেবে থাকছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদীয়মান তারকারা।

 
অনুশীলন ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে ছাত্রলীগের দাপুটে আক্রমন

এরই মধ্যে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে অনুশীল ম্যাচে অংশ নিয়ে প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে ১০-২ গোলে পরাজয় বরণ করে নেয়। গ্যালারি ভর্তি সমর্থক নিয়েও এরকম শোচনীয় পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অপরদিকে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের বয়স বেড়ে যাবার কারণে ফিটনেস সমস্যায় ভুগছে বিএনপি। এছাড়াও বেশ কয়েকজন চৌকষ খেলোয়াড় দীর্ঘদিন ধরে ইনজুরি আক্রান্ত। সর্বশেষ দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অবস্থায় ইনজুরিতে পড়েন দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় জয়নাল আবেদীন ফারুক। সংসদ ভবনের সামনে এক প্রীতি ম্যাচে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের দৌড়ানি খেয়ে ব্যাকবোন ইনজুরিতে পড়েন এ চৌকষ মিডফিল্ডার।

বিএনপির প্রধান নির্বাচক শফিক রেহমান দল নির্বাচন প্রসঙ্গে কিছু বলতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, “প্রতিপক্ষের মাত্রাতিরিক্ত স্লেজিং এর কারণে বেশিরভাগ খেলোয়াড় মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তার উপর হজ্জ্ব মৌসুমের প্রভাবও আছে। সব মিলিয়ে চাপের মুখে ভেঙে পড়ছে বিএনপি। ভেঙে পড়ার পর প্রায় শুয়ে পড়েছে এক সময়কার রিয়াল মাদ্রিদ খ্যাত প্রাচ্যের এ দলটি।”

তিনি আরো বলেন, “এখনো দল নির্বাচনের কাজই শেষ হয়নি, অথচ নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে জার্সি নিয়ে। দলের কয়েকজন খেলোয়াড় গোলাপী রঙের জার্সিতে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা বলছে আসিফা আশরাফী পাপিয়ার নেতৃত্বে খেলবে না এবং গোলাপী জার্সি গায়ে দেবে না।”

বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন শেষ মুহূর্তে হয়তো বিএনপি মাঠে নাও নামতে পারে। তবে, আওয়ামী লীগ তা মেনে নিবে না। এমনকি ছাত্রলীগ কর্তৃক বিএনপির খেলোয়াড়দের ফুটবল বানিয়ে খেলার আশংকাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। বিশিষ্ট ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফর উল্লাহ শারাফাত বলেন, “এতো কিছুর পরও আমাদের মনের ভেতর ক্ষীণ আশার পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। আমরা আশা করি শেষ পর্যন্ত মৌসুমের সবচেয়ে আকর্ষনীয়, জমজমাট, টানটান উত্তেজনাময় মারমুখী এ ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে বিএনপি।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ