মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের আমতৈল ও মানিকদিয়া গ্রামে আবার পাঁচ দিনে প্রায় ৭০টি বাড়িঘরে লুটপাট ও ভাঙচুর হয়েছে। এতে সেখানে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, আমতৈল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডের পর থেকে গ্রাম দুটির সহস্রাধিক পুরুষ পুলিশি হয়রানি, গ্রেপ্তার এবং হামলার আতঙ্কে ঘরছাড়া হয়ে আছে। গত ২৩ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক (আওয়ামী লীগের কর্মী) বিএনপি-সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট তিনি মারা যান। ওই সময় ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রামে নিরাপত্তা নেই।
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, দুটি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িঘরে কোনো পুরুষ নেই। ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমতৈল গ্রামের বিএনপির নেতা ছাবদাল হোসেন কালুসহ অনেকের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। মানিকদিয়া গ্রামে ৭৮টি গরু, ১৫টি ছাগল ও ২৫টি বাড়িঘরে লুটপাট হয়েছে।
আমতৈল গ্রামের নাজের আলীর স্ত্রী হাফেজা জানান, তাঁর বাড়ির পাঁচটি গরু নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। তারা পুলিশের সামনেই লুটপাট চালাচ্ছে। বাড়ির নলকূপ, মাঠের সেচযন্ত্র, এমনকি মাঠের ফসলও কেটে তছরুপ করে দিচ্ছে হামলাকারীরা। এ ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ করেও কাজ হচ্ছে না। গ্রামের আনিছা খাতুন (৪৭) জানান, প্রতিপক্ষের হুমকি-ধমকির কারণে তাঁর স্বামী রশিদ মিয়ার মতো গ্রামের প্রায় ৬০০ পুরুষ ঘরছাড়া। তার পরও তাঁর বাড়ি হামলার শিকার হয়েছে।
মানিকদিয়া গ্রামের নাসরিন আক্তার (৩৯) জানান, এবার হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের কারণে তাঁদের ঈদে আনন্দ হয়নি। ঈদের আগের দিন থেকে গ্রামে আওয়ামী লীগ-সমর্থকেরা বিএনপি-সমর্থকদের বাড়িতে নতুন করে হামলা শুরু করেছে। এই ভয়ে মানিকদিয়া গ্রামের প্রায় ৭০০ পুরুষ এলাকাছাড়া।
আমতৈল গ্রামের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘লোকবলসংকটের কারণে সবকিছু সামাল দিতে পারছি না। ইচ্ছা থাকলেও আইন প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।’ গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের বিএনপির সাংসদ আমজাদ হোসেন বলেন, দুটি গ্রামের শতাধিক বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ও কর্মী।
গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বলেন, দলের একাংশের নেতৃত্বে আমতৈল ও মানিকদিয়া গ্রামে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। এই অংশটি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে রাজনীতিকে কলুষিত করতে চাইছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, আমতৈল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডের পর থেকে গ্রাম দুটির সহস্রাধিক পুরুষ পুলিশি হয়রানি, গ্রেপ্তার এবং হামলার আতঙ্কে ঘরছাড়া হয়ে আছে। গত ২৩ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক (আওয়ামী লীগের কর্মী) বিএনপি-সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট তিনি মারা যান। ওই সময় ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রামে নিরাপত্তা নেই।
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, দুটি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িঘরে কোনো পুরুষ নেই। ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমতৈল গ্রামের বিএনপির নেতা ছাবদাল হোসেন কালুসহ অনেকের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। মানিকদিয়া গ্রামে ৭৮টি গরু, ১৫টি ছাগল ও ২৫টি বাড়িঘরে লুটপাট হয়েছে।
আমতৈল গ্রামের নাজের আলীর স্ত্রী হাফেজা জানান, তাঁর বাড়ির পাঁচটি গরু নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। তারা পুলিশের সামনেই লুটপাট চালাচ্ছে। বাড়ির নলকূপ, মাঠের সেচযন্ত্র, এমনকি মাঠের ফসলও কেটে তছরুপ করে দিচ্ছে হামলাকারীরা। এ ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ করেও কাজ হচ্ছে না। গ্রামের আনিছা খাতুন (৪৭) জানান, প্রতিপক্ষের হুমকি-ধমকির কারণে তাঁর স্বামী রশিদ মিয়ার মতো গ্রামের প্রায় ৬০০ পুরুষ ঘরছাড়া। তার পরও তাঁর বাড়ি হামলার শিকার হয়েছে।
মানিকদিয়া গ্রামের নাসরিন আক্তার (৩৯) জানান, এবার হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের কারণে তাঁদের ঈদে আনন্দ হয়নি। ঈদের আগের দিন থেকে গ্রামে আওয়ামী লীগ-সমর্থকেরা বিএনপি-সমর্থকদের বাড়িতে নতুন করে হামলা শুরু করেছে। এই ভয়ে মানিকদিয়া গ্রামের প্রায় ৭০০ পুরুষ এলাকাছাড়া।
আমতৈল গ্রামের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘লোকবলসংকটের কারণে সবকিছু সামাল দিতে পারছি না। ইচ্ছা থাকলেও আইন প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।’ গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের বিএনপির সাংসদ আমজাদ হোসেন বলেন, দুটি গ্রামের শতাধিক বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ও কর্মী।
গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বলেন, দলের একাংশের নেতৃত্বে আমতৈল ও মানিকদিয়া গ্রামে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। এই অংশটি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে রাজনীতিকে কলুষিত করতে চাইছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন