বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০১১

ঘুরে এলাম





বাংলাদেশের কত জায়গায় যে ঘুরতে যেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সুযোগটাই হয়ে ওঠে না। কিছু দিন আগে হঠাৎ করে সুযোগ এল মেহেরপুরের মুজিবনগরে ঘুরে আসার। সুযোগ পাওয়া মাত্র লুফে নিলাম। সেলফোনের ক্যামেরায় যা মনে ধরেছে তুলেছি। এইবার দেখাতে শুরু করি। শুধু উপরের ছবিটা গুগল মামুর কাছ থেকে নিয়েছি।


যাত্রা শুরু করেই সেলফোন হাতে নিয়ে ক্লিক করা শুরু করে দিয়েছিলাম। কিন্তু বাসের ঝাঁকুনিতে বেশির ভাগ ছবির দফা-রফা হয়ে গিয়েছে। কয়েকটা একটু কম ঝাপসা হয়েছে সেগুলোই দিলাম।

এইটা চুয়াডাঙ্গার একটা সেতু, নাম জানতাম না। রুদ্রপ্রতাপের কাছ থেকে জানলাম, এটা গড়াই নদীর ওপর গড়াই ব্রিজ।




আরেকটা চিপা গলির মত সেতু ছিল, ঐটায় বাস ওঠার সময় উল্টোদিক থেকে একটা ট্রাক আসছিল, তাই আমাদের বাসকে একটু দাঁড়াতে হয়েছিল। ঐ ফাঁকে খাল বা নদী যা-ই হোক সেটার ছবি তুলে নিয়েছিলাম।




রাস্তার দুই ধারে গাছের সারি এত সুন্দর ছিল যে ইচ্ছা করছিল পুরোটা রাস্তার ছবি তুলে নিই, কিন্তু ঝাঁকুনি খেতে খেতে আর হল না। এই ছবিটাই সবচেয়ে কম ঝাপসা। বাকীগুলোর অবস্থা আরও কেরোসিন।




পথে আট মুক্তিযোদ্ধার সমাধিস্থলে গিয়েছিলাম।




মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের বিরাট এলাকায় ঢুকতেই প্রথমে দেখা যায় সুন্দর একটা মসজিদ।




মসজিদের পাশে একটা শিশুপল্লী।





এখানে একটা বিশাল মানচিত্র আছে বাংলাদেশের। মানচিত্রের বিভিন্ন অংশে একাত্তরের ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আমার সেলফোনের পিচ্চি ক্যামেরায় মানচিত্রের পুরোটা একসাথে ধরা খুব মুশকিল হয়ে গেল। তাই একেক প্রান্ত থেকে একটু একটু করে ছবি নিলাম।

এটা রাজশাহীর দিকের, পদ্মার ওপর হার্ডিঞ্জ সেতু, যেটা মুক্তিযোদ্ধারা উড়িয়ে দিয়েছিল। পাশেই রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে গুলি করে মারার দৃশ্য। ঢাকার অংশে রয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ আরও কিছু উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থাপনা।




চট্টগ্রামের কোণ থেকে পুরো বাংলাদেশ একসাথে দেখার প্রচেষ্টা।




খুলনায় মংলা সমুদ্র বন্দর। পাশে দেয়ালের কাছে দাঁড়ানো মানুষগুলো দেখে আন্দাজ করা যায় মানচিত্রটা কত বড়।




সাগরের বুক থেকে পুরো মানচিত্র একসাথে দেখার জন্য একটা ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। সেটার সবচেয়ে উপরের উঠেও পুরোটার ছবি নিতে পারলাম না। চট্টগ্রামটা বাদ পড়েই যাচ্ছিল।




তাই চট্টগ্রামের ছবি আলাদা করেই নিয়ে নিলাম। এখানে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দেখা যাচ্ছে, একটা জাহাজসহ।




এইবার ওয়াচ টাওয়ার থেকে চারপাশের ছবি নিতে থাকলাম।




এটা যেন কী ছিল, ভুলে গিয়েছি। মনে হয় বিজিবির একটা ক্যাম্প।





পাশে একটা আম বাগান। এই বাগানেই রয়েছে মূল স্মৃতিসৌধ। পরে সেই ছবি আসবে।




আশে-পাশের ক্ষেতগুলো কেমন যেন ন্যাড়া ন্যাড়া। অবশ্য হেমন্তে ফসল কেটে ফেলারই কথা।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ