বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলের যুগ এটিএন বাংলা থেকে শুরু করে হালের নতুন চ্যানেলগুলি বোধহয় একটা পণ নিয়ে যাত্রা শুরু করে, "যাহা প্রচার করিব একই প্রচার করিব আলাদা হইব না"। মাঝে ইসলামিক টিভি এবং এটিএন নিউজ একটু আলাদা আঙ্গিকে দেখা দেয়। বাকী সব চ্যানেলগুলির মধ্যে খুব একটা পার্থক্য দেখা যায় না। সুস্থ বিনোদন আর কোথায় পায়।
ঈদ এলেই আমাদের চ্যানেলগুলি দর্শট টানার একটা মহান দুষ্কর্ম নিয়ে মাঠে নামে। সে কারণেই হয়তো ঈদ অনুষ্ঠান নামে ৫-৬ দিনের এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। ঈদ অমুক-ঈদ সমুক নামের নানান অনুষ্ঠান নিয়ে হাজির হয়। বলি সবাই যদি ফুলের বাসর সাজিয়ে রাখ তো কোনটাতে যাই? শুধু ঈদ অনুষ্ঠান বলে নয়, বাংলার টিভি চ্যানেলগুলির মধ্যে একই রকম প্রতিযোগীতা সর্বেসর্বা। সকাল ৭.০০ টায় একবার সকালের খবার প্রচার কর। ২.০০ টায় দুপুরের খবর। মাঝে কিছু গান বা অন্যান্য কিছু। ১০.০০ রাতের, আর ১২.০০ টায় মধ্যরাতের খবর দিতে ভুলনা কিন্তু। আর একটু পর দেশের জ্ঞানীদের নিয়ে টানা-চেঁচড়া। টক-ঝাল-মিষ্টি শো। একটা সমােলোচনা প্রায়ই শোনা যায়, আমরা বাঙালীরা দেশের চ্যানেল বাদ দিয়ে ভারতের চ্যানেলের প্রতি বেশি আকৃষ্ট। এটা যেমন সত্য তেমন অমূলক নয়। ভারতীয় চ্যালেগুলি দেখুন, সত্যিকারের বিনোদনের ছড়াছড়ি। আপনি যদি সিনেমা প্রেমী হন তো বসে যান স্টার গোল্ড, ম্যাক্স বা জি সিনেমা নিয়ে।যারা মিউজিক নিয়ে মাতামাতি তাদের পছন্দ 9xm, Z music। আর যদি সিরিয়ালের মত ম্যাড়ম্যাড়ে জিনিসেই ভাল লাগে তো "ষ্টার জলসা"। আর খেলাধুলা? এবারতো চ্যানেলর একটা লম্বা ফর্দ নিয়ে হাজির হতে হবে। এবার মন ফিরিয়ে আনুন বাংলাদেশে মন দিয়ে একটা টেলিফিল্ম দেখছেন। একটু পর বলবে ফিরে আসছি খবররে পর। স্বল্পদৈর্ঘ হলে ভাল নইলে দেশের খবর, বিদেশের খবর এসবের ভিড়ে মনেই থাকে কী দেখছিলাম। বাংলাদেশের খেলা দেখার জন্য আমাদের প্রধান ভরসা গরুর গাড়ী মার্কা বিটিভি। ইদানিং এটিএন বাংলা, চ্যানেল আই ওই দক্ষিণের ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচ নিয়ে প্রায় শেষরাতে হাজির হয়। কিন্তু মরুর বুকে যদি বাংলাদেশের আন্তার্জাতিক ম্যাচ থাকে ঘাটের মড়া মনে করে এরা পাশে যায়না।
এতসব কিছুর পর কীভাবে পারি দেশের চ্যানেলগুলোকে ভালবাসতে?
ঈদ এলেই আমাদের চ্যানেলগুলি দর্শট টানার একটা মহান দুষ্কর্ম নিয়ে মাঠে নামে। সে কারণেই হয়তো ঈদ অনুষ্ঠান নামে ৫-৬ দিনের এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। ঈদ অমুক-ঈদ সমুক নামের নানান অনুষ্ঠান নিয়ে হাজির হয়। বলি সবাই যদি ফুলের বাসর সাজিয়ে রাখ তো কোনটাতে যাই? শুধু ঈদ অনুষ্ঠান বলে নয়, বাংলার টিভি চ্যানেলগুলির মধ্যে একই রকম প্রতিযোগীতা সর্বেসর্বা। সকাল ৭.০০ টায় একবার সকালের খবার প্রচার কর। ২.০০ টায় দুপুরের খবর। মাঝে কিছু গান বা অন্যান্য কিছু। ১০.০০ রাতের, আর ১২.০০ টায় মধ্যরাতের খবর দিতে ভুলনা কিন্তু। আর একটু পর দেশের জ্ঞানীদের নিয়ে টানা-চেঁচড়া। টক-ঝাল-মিষ্টি শো। একটা সমােলোচনা প্রায়ই শোনা যায়, আমরা বাঙালীরা দেশের চ্যানেল বাদ দিয়ে ভারতের চ্যানেলের প্রতি বেশি আকৃষ্ট। এটা যেমন সত্য তেমন অমূলক নয়। ভারতীয় চ্যালেগুলি দেখুন, সত্যিকারের বিনোদনের ছড়াছড়ি। আপনি যদি সিনেমা প্রেমী হন তো বসে যান স্টার গোল্ড, ম্যাক্স বা জি সিনেমা নিয়ে।যারা মিউজিক নিয়ে মাতামাতি তাদের পছন্দ 9xm, Z music। আর যদি সিরিয়ালের মত ম্যাড়ম্যাড়ে জিনিসেই ভাল লাগে তো "ষ্টার জলসা"। আর খেলাধুলা? এবারতো চ্যানেলর একটা লম্বা ফর্দ নিয়ে হাজির হতে হবে। এবার মন ফিরিয়ে আনুন বাংলাদেশে মন দিয়ে একটা টেলিফিল্ম দেখছেন। একটু পর বলবে ফিরে আসছি খবররে পর। স্বল্পদৈর্ঘ হলে ভাল নইলে দেশের খবর, বিদেশের খবর এসবের ভিড়ে মনেই থাকে কী দেখছিলাম। বাংলাদেশের খেলা দেখার জন্য আমাদের প্রধান ভরসা গরুর গাড়ী মার্কা বিটিভি। ইদানিং এটিএন বাংলা, চ্যানেল আই ওই দক্ষিণের ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচ নিয়ে প্রায় শেষরাতে হাজির হয়। কিন্তু মরুর বুকে যদি বাংলাদেশের আন্তার্জাতিক ম্যাচ থাকে ঘাটের মড়া মনে করে এরা পাশে যায়না।
এতসব কিছুর পর কীভাবে পারি দেশের চ্যানেলগুলোকে ভালবাসতে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন