মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১১

যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে কোম্পানীগঞ্জে দু-গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় যুবদলের সম্মেলন কে কেন্দ্র করে দু-গ্রুপের সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আহত হয় প্রায় ১৫জন। 
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গতকাল সকাল ১১ঘটিকার সময় রামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনচার উল্যাহর বাড়ীর দরজায় ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলন চলাকালে রামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠিনক সম্পাদক বেলাল গ্রুপ অতর্কিত হামলা চালিয়ে মঞ্চ, তোরন ভাঙচুর করে ফলে আনাচার-হকসাব ও বেলাল-কাজী একরাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে আনাচার উল্যাহ, তার ভাই ইমাম উদ্দিন, হকসাব, ভূট্টো ও বেলাল গ্রুপের নাছের সহ প্রায় ১৫জন আহত হয়। ঘন্টাখানেক ধরে চলা উভয়পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ও সংঘর্ষের পর সম্মেলন আবার শুরু হয়। সম্মেলনে আসা উপজেলা যুবদল সভাপতি আবদুল মতিন লিটন, সম্পাদক আবদুল্যা আল মামুন, সাংগঠনিক মেহেদী হাসান টিপু ও পৌর যুবদল নেতৃবৃন্দ ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি পরে ঘোষনা করা হবে আশ্বাস দিয়ে সম্মেলন সমাপ্ত করে। এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক আবুল কাশেম বুলবুল জানায়, জেএসসি পরীার কারনে প্রশাসন পরীা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে কোন ধরনের সভা-সমাবেশ ও মাইক ব্যাবহার নিষিদ্ধ করায় আমরা সাবেক চেয়ারম্যান আনচার উল্যাহর বাড়ীর দরজায় সমাবেশের আয়োজন করি। কি কারনে তারা অতর্কিত হামলা চালায় এবং কোন উদ্যেশ্যে বিএনপির রাজনীতিকে তারা ধ্বংষ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তা আমার বোধগম্য নয়। এসব ঘটনায় বিএনপি দিন দিন সাধারন মানুষ ও সমর্থকদের কাছে হেয় এবং সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। উপজেলা নেতৃবৃন্দ এসব ঘটনার সুষ্ঠ বিচার করবে বলে আমি আশা করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্চুক বিএনপির এক নেতা জানায়, বেলাল অতীতে একজন সন্ত্রাসী ছিল তার কর্মকান্ডের কারনে এলাকাছাড়া ছিল কয়েক বছর এখন বিএনপিতে এসে আবার সে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করছে। গত বিএনপির আমলে যারা এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে এলাকাছাড়া ছিল তাদের সে সংঘঠিত করে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে বিএনপির সাইনবোর্ড ব্যাবহার করে বিএনপিকে সে একটি সন্ত্রাসীদলে পরিনত করেছে। উপজেলার কিছু নেতার মদদে সে বারবার এসকল কর্মকান্ড করার সাহস পাচ্ছে। 
এ ঘটনায় উভয় পই কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। আনাচার গ্রুপের প থেকে ইমাম উদ্দিন বাদী হয়ে বেলাল হোসেন, নূর উল্যাহ, আবদুল্যাহ, বাহাদুর, মিলন, মিষ্টার, রাসেল, ইকবাল, পাপ্পু, সোহাগ, সোহেল, পারভেজ, আকবর হোসেন, নুর আলম কে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। বেলাল গ্রুপের প থেকে নূর উল্যাহ বাদী হয়ে আনাচার, ইমাম উদ্দিন, হকসাব, বাহাদুর, জহির সহ ৮জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। 
রামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সম্পাদক আবু তাহের দুলাল এ সংঘর্ষের ব্যাপারে বলেন, বিএনপির সৃষ্ঠি হয়েছে এরকম ঘটনার মধ্য দিয়ে, বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ে জেএসসি পরীা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই দিনে এরকম ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে এলাকার সুনাম নষ্ট করা ছাড়া তাদের থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায়না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ