এই লেখাটার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোন সিকোয়েন্স নেই। থাকতেই পারেনা। আর যদি সিকোয়েন্স খুজে পান তবে অবশ্যই আপনার ডাক্তার দেখাবার সময় হয়েছে, অথবা উল্টোটাও হতে পারে।...
হঃ
স্বপ্নহীন জগতে/ স্বপ্নময় চাওয়া/ স্মৃতির হলদে পাতায়/ কিছু শৈশব ফিরে পাওয়া
হুমায়ুন আহমেদ এর একটা আত্নজীবনী মূলক বই হচ্ছে "কিছু শৈশব"। বইটা আমার এক কাজিন কে জন্মদিনে উপহার দিয়েছিলাম। ফ্ল্যাপে উপরের কথাগুলো লিখে দিয়েছিলাম।
এই কাজিনটা আমার চেয়ে মাত্র ২৬ দিনের ছোট। এই ছোট্ট মেয়েটা গত বছর হুট করেই কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলল!
গতকাল ছিল তার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা।
যে কথাটা প্রথমেই মাথায় আসছে, ওর বিয়ের বয়স হতে পারলে, আমার কি হয়নি??? হাঃ হাঃ
যঃ
আমার প্রতি বছরের একটা ডায়েরী থাকে। ২০০৫ থেকে রাখি। ২০০৯ এর ডায়েরীটায় খালি পাতা ছিল সবচেয়ে কম। আর এবছরেরটায় খালি পাতা সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিন ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোই সাধারণত ডায়রী তে লিখি আমি।
বঃ
আমার পড়ালেখার বিভিন্ন সাব্জেকট লেখার খাতাগুলো কখনোই পুরোপুরি শেষ হত না। এখনো হয়না। শেষের বেশ কিছু পৃষ্টা বাকি পড়ে থাকত। সেসব পৃষ্ঠায় জমিয়ে চলত কাব্যচর্চা(!) ডাচম্যানের যে সমস্ত কবিতা(!) এখন আপনারা পড়েন তার দুই তৃতীয়াংশই ঐখানে লেখা।
কোন কোন সময় কার্টুন চর্চাও চলত। একটু ছোটবেলায় আমি দারুণ কার্টুন আকতে পারতাম। এই মুহূর্তে আমার হাতে একটা আছে। কিন্ত এখন আমার কাছে কার্ড রিডার বা স্ক্যানার কিছুই নেই। ল্যাপটপের ব্লুটুথ ডিভাইসটাও কাজ করছে না বেশ কিছুদিন। তাই আমার এ মহান শিল্পকর্ম(!) দেখা ত্থেকে আপনারা বঞ্চিত হলেন।
কখনো সখনো কড়া কোন স্যারের ক্লাসে বোরড হয়ে গেলে খাতাটাই হয়ে উঠত বন্ধুদের অফলাইন চ্যাটরুম। তখন তো ফেবুর এত চল ছিল না।
রঃ
ক্লাস সেভেন এইটে থাকতে আমার ওয়াইল্ডেস্ট অ্যাডভেঞ্চার ছিল লুকিয়ে লুকিয়ে একটা ম্যাগাজিন পড়া। গেস করে ফেলেছেন? চ দিয়ে শুরু হওয়া দু অক্ষরের একটা শব্দ যদি ভেবে নিয়ে থাকেন, তাহলে ভুল করছেন! উত্তরটা হলো, বিভিন্ন অকেশনে বের হওয়া যায়যায়দিন এর বিশেষ সংখ্যা! (এখনকার মৌচাকে ঢিল)। আমার কি দোষ! ওটা আমার কাছে থেকে লুকিয়ে রাখা হত ক্যানো? তোমরা সবাই পড়তে পারবা আর আমি পারব না! হুহ!
পর্ণ পড়তে যদিও ভালোলাগত না কোন কালেই, তবে পর্ণ লেখার চেষ্টা করেছিলাম একদিন। তাও আবার ইংরেজিতে!!! আইরনি আর কাকে বলে!
লঃ
সামহোয়্যারইন ব্লগে যখন প্রথম অ্যাক্যাউন্ট খুলি, ২০০৭ এর শুরুতে (এটা না, স্বনামে খোলা আমার আরেকটা আইডি ছিল।) তখন গ্রুপ ব্লগিং এর যে নিয়ম ছিল, এখনো তাই আছে। গ্রুপ ম্যানুয়ালি খুলতে হয়। তো আমি আর আমার দুই বন্ধু মিলে (যারা তখন আমার সাথেই আইডি খুলেছিল, কিন্তু কোনদিনই ব্লগিং করেনি) নীতিমালা চুড়ান্ত করলাম। উদা ভাইয়ের "বান্দর" গ্রুপ থেকে দারুণ ইন্সপায়ার্ড ছিলাম! কয়েকটা নাম বের করেছিলাম গ্রুপের জন্য।
রেড এলার্ট
দেশাল
পাগল সংঘ
মুক্ত-মন-ধারা
ঝালমুড়ি ইত্যদি আরো ২০-২১ টা নাম...
শেষমেষ কোন নামটা যে নেব আর কোন নীতিমালা যে চুড়ান্ত করবো সেটা ভেবে বের করতে গিয়ে আর পাঠানোই হলোনা। তারপর ব্লগিং এ লম্বা বিরতি দিয়ে ফেললাম, এইচ এস সি পরীক্ষা চলে এলো। সেসময় গ্রুপ ব্লগ রিকোয়েস্ট পাঠালে হয়তো আজকে আমিও হতাম কোন একটা গ্রুপ ব্লগের মডু! সেক্ষেত্রে হয়ত ডাচম্যানের আইডিটার জন্মই হত না...
মাথা এলোমেলো অবস্থায় আছে। খুবই এলোমেলো। তাই লেখাটাও ওরকমই হয়ে গ্যালো। আসলে এই লেখাটা লিখবার উদ্দেশ্য ছিল মাথাটাকে কেন্দ্রীভূত করা। কিছুটা মনে হয় কাজে দিয়েছে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন