মুসলমানদের কুরবানীর টাকা ছিনতাই করার আধুনিক পলিসি থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সাবধান!

জ্বি! সাক্ষাৎ ছিনতাইকারী বটে! দিন দুপরে ছিঁচকে ছিনতাইকারী পকেটমার গংও এমন কাজ করে না। যারা চুরি ছিনতাই করে তাদের ঈমানটা যে একেবারে চলে যায় সেটা বলতে পারি না। তবে যে ছিনতাইকারী প্রকাশ্যে বলে- “আপনারা কুরবানী না করে সে টাকাটা হাসপাতাল, পদ্মা সেতু, চার লেনের সড়কে কিংবা ব্রিজ বানাতে দিয়ে দিন” (নাঊযুবিল্লাহ!) এমন ছিনতাইকারী যদি মুসলমান নামধারী হয়ে থাকে, তবে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে নিঃসন্দেহে। কারণ প্রত্যেক সামর্থ্যবানকে কুরবানী দিতে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ করেছেন, তাগিদ দিয়েছেন। এই কারণে আমাদের হানাফী মাযহাবে প্রত্যেক সামর্থ্যবানের পক্ষে কুরবানী দেয়াটা ওয়াজিব করা হয়েছে। মুসলমানদেরকে ওয়াজিব তরকের গুনাহতে যারা লিপ্ত করাতে চায় তারা কস্মিনকালেও মুসলমান হতে পারে না। এরা আসলে সবসময় ধান্ধায় থাকে কি করে কি উপায়ে কিছু টাকা পয়সা লুটপাট করা যায়।
ইতঃপূর্বে এই বেঈমান ছিনতাইকারীর দল কুরবানীর টাকা সিডরে ক্ষতিগ্রস্তদের দিয়ে দিতে বলেছিলো, কেউ কেউ গরিব দুস্থদের দিতে বলেছিলো। কুরবানীর গোশত নয়, টাকা দিতে বলেছিলো। এবারে তারা বলছে রাস্তাঘাট, ব্রিজ সেতু কিংবা হাসপাতাল ফান্ডে দিতে। এসব করতে গিয়ে ছিনতাইকারীর দল বিভিন্ন তথাকথিত জনকল্যাণমূলক সংস্থা বা ফোরাম খুলেছিলো। অতঃপর তাদের সমমনা কতিপয় নাস্তিক মুরতাদ কুরবানীকে হেয় করার জন্য কিছু কিছু খয়রাতি টাকা সেগুলোতে দিয়েছিলো। আর বলেছিলো কুরবানীর টাকা আমরা দান করেছি, আপনারাও করুন। অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- জীবনে এরা আদৌ কুরবানীই দেয় না। শুধুমাত্র টাকা পয়সা লুটপাট ছিনতাইয়ের কু-বাসনাতে তারা এই মতলব আঁটে। অতএব, ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা খুবই সাবধান থাকুন এই নব্য বেঈমান ছিনতাইকারী গং হতে।