বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১১

হারাবার আর কিছু বাকি নেই

জামার বোতাম খুলে তিনি বললেন, ‘আমাকে মেরে ফেলেন। বেঁচে থাকার কোনো ইচ্ছে নেই আর। সব হারিয়ে ফেলেছি। হারাবার আর কিছু বাকি নেই। আমরা ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছি। আমাদের কষ্টের কথা তাঁকে জানান।’
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা সমাবেশ শেষে রাস্তায় মিছিল করতে চান। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে এগিয়ে গেলে বিনিয়োগকারী বোরহান উদ্দিন এভাবেই তীব্র ক্ষোভ ও আহাজারি করেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন চাকরি শেষে পাওয়া সব টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এমনকি উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ কেনার টাকা জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আজ দুপুরে চট্টগ্রামে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ইনভেস্টরস ফোরাম অব চিটাগাংয়ের ব্যানারে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের অপসারণ এবং স্থিতিশীল পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিনিয়োগকারীদের সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টায় নগরের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনের বিপরীতে জীবন বীমা ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন ফোরামের আহ্বায়ক আছলাম মোরশেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ কাদের, সরোজ চৌধুরী, চন্দন চৌধুরী, মাস্টার আবু তাহের প্রমুখ।
সমাবেশে এক বক্তা বলেন, ‘আমরা শেয়ারবাজার চাঙা করার বহু প্রতিশ্রুতি শুনেছি। কিন্তু বাস্তবে বিশ্বাস করার মতো কিছুই পাচ্ছি না। তাই আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রীর আজকের বৈঠক প্রসঙ্গে আরেক বলেন, ‘বিশেষ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক না করে প্রধানমন্ত্রী টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনলে তা অনেক ফলপ্রসূ হতো।’
সমাবেশ থেকে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের প্রতি সম্মান জানিয়ে কাল তাঁদের কোনো কর্মসূচি থাকছে না। প্রয়োজনে আগামী রোববার থেকে লাগাতার কর্মসূচি দেবেন।
সমাবেশ শেষে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নামতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে তা পণ্ড হয়ে যায়।
চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার টহল পুলিশ পরিদর্শক মুন্সি হাফিজুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা কোনো মিছিল করতে দেইনি।’ এ ছাড়া বিনিয়োগকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন বলে জানান তিনি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ