রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১১

help the people ...



দয়া করে লেখাটি পড়ুন। 
তীব্র শীতে মৃত্যুর সাথে লড়ছে বস্ত্রহীন মানুষ। কেউ কি নেই তাদের পাশে দাঁড়ানোর?

আমরা আধুনিক মানুষ- হাইডেলবার্গ যুগের নরবানর নই। বিজ্ঞানের প্রসারে উন্নত বিশ্বের ধনবানরা যখন শখের বশে কৃত্রিম শীতের রাজ্যে বসবাস করার বাসনা করছে, শীত প্রধান দেশের মানব সমাজ যখন ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বা তারও নীচে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে, আমাদের দেশের ধনবানরা যখন শীতের আগমনে পিঠা, পায়েস আর শ্বেত শুভ্র শিশিরের গন্ধ পাচ্ছে তখন অধিকার বঞ্চিত, অসহায়, বিত্তহীন-বস্ত্রহীন, দরিদ্র লাখো লাখো মানুষ মাত্র ৪-৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় অবর্ণীয় কষ্ট ভোগ করছে- মারা যাচ্ছে শত শত।
শীত জনগণের জন্য আজও এক জীবন-মরণ সংকট। জানুয়ারি, ২০০৩ এর শৈত্যপ্রবাহে ৭০০-রও বেশি মানুষ প্রাণ হারান, ২০১০এ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই মৃত্য হয় ১৭৬ জনের । ধীরে ধীরে এর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এ সবই শীতে জনদুর্ভোগের খন্ডচিত্র। শৈত্যপ্রবাহ ও শীতজনিত রোগে পরোক্ষ মৃত্যু ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অপরিমেয়।
৭২ সালে যেখানে হাতে গোনা কয়েকজন কোটিপতি ছিল, সেখানে এখন কোটিপতি আমানতকারীই রয়েছে প্রায় ২৪,০০০জন। দেশে এত কোটিপতি থাকা স্বত্বেও লাখো লাখো দরিদ্র মানুষ মাত্র ৪-৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় অবর্ণীয় কষ্ট ভোগ করছে। 
তাই আসুন আমাদের আড্ডা আর অবসরে অযথা টাকা নষ্ট না করে সময় করে একটু স্বেচ্ছাশ্রম, অযত্নে পড়ে থাকা গত বছরের শীতের কাপড়টি এবং কিছু অর্থ দিয়ে ওদের জীবন বাঁচাই- আমাদের ছোট ভাই বোনের মত হাজার হাজার শিশুর মুখে একটু হাসি ফোঁটাতে চেষ্টা করি।
প্রত্যেকে যদি তার অযত্নে পড়ে থাকা গত বছরের শীতের কাপড়টি নিকটস্থ দরিদ্রদের দান করি তাহলে ১টা মানুষও এ দেশে শীতজনিত কারনে মারা যাবেনা।

মানবতার খাতিরে লেখাটি শেয়ার করলে হয়ত ১টা মানুষের প্রাণ বাঁচবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ