মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১১

মাত্র ৮বছরের মেয়ের আত্মহত্যা : যে ভুলের কোন ক্ষমা হতেই পারে না!

সব বিষয়ে পাস করা সত্ত্বেও শিক্ষকের ভুলে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়নি ৮ বছরের স্কুল ছাত্রী জয়মালাকে। আর এতে প্রচ- অপমান ও লজ্জায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী জয়মালা আক্তার। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে মানিক-গঞ্জের সাটুরিয়ায়।
জানা গেছে, সাটুরিয়ার পশ্চিম কাওন্নারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার বার্ষিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু উত্তীর্ণের তালিকায় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী জয়মালার নাম নেই। পরে সে ফেল করেছে মনে করে তার বোনের ভাড়াটে বাসায় গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে জানা যায়, ওই ছাত্রী সব বিষয়ে পাস করেছে। শুধু শিক্ষকের ভুলে উত্তীর্ণ তালিকায় তার নাম ওঠেনি।
পশ্চিম কাওন্নারার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, জয়মালা বাংলায় ৫৩, গণিতে ৪০, ইংরেজিতে ৪৬, সমাজে ৪২, বিজ্ঞানে ৬৯ ও ইসলাম ধর্মে ৫১ নাম্বার পেয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণ পালের ভুলের কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। জয়মালার বাবা আমীর হোসেন এজন্য শিক্ষকদের দায়ী করে তাদের বিচার দাবি করেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক অরুণ পাল জানান, জয়মালা এ স্কুলের ছাত্রী কিনা তিনি জানেন না। সে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার আগে স্কুলের হাজিরা খাতায় নাম অন্তর্ভুক্তি ছাড়াই ক্লাস করেছে। তাই ভুলে তার ফল প্রকাশ করা হয়নি। তিনি এর জন্য শ্রেণী শিক্ষককে দায়ী করেন। 

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাম অন্তর্ভুক্তি ছাড়া কোনো ছাত্র-ছাত্রীর ক্লাস করার সুযোগ নেই। ফলাফল বইয়ে ওই ছাত্রীর নাম থাকলে এর দায়-দায়িত্ব স্কুল প্রধানকেই নিতে হবে। এর সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে সাটুরিয়ার ইউএনও মুহাম্মদ আবুল কাসেম ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনারা বেগম ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ