রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১১

সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মামলা-হামলার রেকর্ড গড়ে তুলেছে।

সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মামলা-হামলার রেকর্ড গড়ে তুলেছে। তাই জনমনে এ প্রশ্ন জেগেছে- মামলা-হামলার পাশাপাশি সরকার বিরোধী দল দমনে কি গুপ্তহত্যা ও গুম করার পদ্ধতি-প্রক্রিয়া অবলম্বন করে চলেছে? জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান জোট সরকার এই তিন বছরে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর ২০ হাজারেরও বেশি মামলা দায়ের করে এ ক্ষেত্রে এক রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আর এসব মামলার আসামি এক লাখেরও বেশি। এই আসামিদের মধ্যে ২৫ হাজারই হচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী। আর এসব মামলার বাদি হচ্ছে পুলিশ। অতীতে কোনো সরকারই বিরোধীদের ওপর এত বেশিসংখ্যক মামলা করার নজির সৃষ্টি করতে পারেনি। এর মধ্যে একটি মামলায় আসামির সংখ্যা চার হাজারের মতো। রাজনৈতিক সমাবেশ আর হরতালকে কেন্দ্র করে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে। অনেক মামলায় কয়েক শ’ অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও রাখা হয়েছে, যাতে যখন যাকে ইচ্ছে তাকে মামলায় সহজে ঢুকিয়ে দেয়া যায়। অপর দিকে বর্তমান সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় সাত হাজার ১০০ মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে ছয় হাজার ৭৮৫টিই ফৌজদারি মামলা। বাকি ৩১৫টি দুর্নীতি কমিশনের। এ মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার উপকারভোগী সবাই সরকারি দলের লোকজন। তা ছাড়া দলীয় লোকদের বাঁচানোর জন্য ফাঁসির আসামির দণ্ড মওকুফে রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতাকেও কাজে লাগাতে ভুল করছে না এ সরকার। শুধু তাই নয়, এ প্রক্রিয়ায় ফাঁসির হাত থেকে বেঁচে যাওয়া দলীয় লোকদের ঘটা করে গণসংবর্ধনাও দেয়া হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ