শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১১

অদৃষ্ট চক্র




মর্জিনা বেগম আজ সূর্যদয়ের অনেক আগেই ঘুম থেকে উঠেছেন। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বেশ আগেই ঘুম ভেঙ্গেছে। বিছানা ছাড়ার পর থেকে দরজায় ঠেস দিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে আছেন। আঙ্গিনায় পোষা মুরগী, কবুতর আর হাঁসগুলো এপাশ ওপাশ দৌঁড়াদৌঁড়ি করছে। উপযুক্ত সময়ে তাদের খাবার জোটেনি বিধায় এপাশ ওপাশ ছুটাছুটি করছে।
মর্জিনা বেগম প্রত্যহ সকালবেলা সূর্য উঠার সাথে সাথে পোষা প্রানীগুলো ছেড়ে দেন। খাবার ছিটান আঙ্গিনা জুড়ে। তারা উদর ভরে খাবার গ্রহণ করে। আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। মর্জিনা বেগমের দিকে তৃপ্তদৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। বহুদিন বাদে তাদের নিত্য রুটিনে ব্যত্যয় ঘটেছে। আজ মর্জিনা বেগমের দৃষ্টি এসব পার্থিবতা ছাড়িয়ে কোন এক অজানায় উঁকি দিচ্ছে।
সূর্যটা বেড়ে বাড়ির পাশের পুরোনো আম গাছগুলোর গলা ছুঁই ছুঁই করলে হাস মুরগীগুলো জঠর জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে নীরবে বাড়ির বাইরে চলে যায়। মর্জিনা বেগম কোন এক অশনি সংকেতের মাঝে পড়েছেন, এটা হয়ত এই অবলা প্রানিগুলোও কিছুটা ঠাওর করতে পেরেছে। 

মর্জিনা বেগমের ছেলে মজিদ দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। আজ সাত সকালে মাকে দরজায় অনড় দেখে তারও মনটা খারাপ হয়ে যায়। অনেক ইতস্তত করে দু’একটা কথার বেশী কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস হয়না। পাছে তার কপালে দু’ঘা পিটুনি জুটে। তারপরও সকালবেলা মায়ের হাতের চাল ভাজা আর দু’চুমুক চায়ের আশায় বসে থাকে। ছোট্ট চঞ্চল খেলাধূলা কাতর মন কত আর অপেক্ষায় থাকবে? এক সময় অপেক্ষার অন্ত ঘটিয়ে পোষা প্রাণিগুলো ছেড়ে দিয়ে পলিথিন প্যাচানো ফুটবল নিয়ে মাঠে দৌঁড়ায়। পোষা প্রাণি বা মজিদের কারো কপালেই আজ প্রাত খাবার জুটলো না।
মিনি। মিনি মর্জিনা বেগমের বড় মেয়ে। সে পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে। এখনো হেসে খেলে বেড়ায়। বেশ ছটফটে স্বভাবের। দেখতেও ফুটফুটে সুন্দর। সুযোগ পেলেই সে এ বাড়ীর পেয়ারা ও বাড়ীর আম সে বাড়ীর জাম গাছে উঠে। নিমিষেই সাবার করে সব পাকা আম, জাম আর পেয়ারা। তার অতি আদরের ছোট ভাই মজিদ, মই বা আকর্শির যোগান দাতা। এজন্য তার ভাগেও বেশ খানিক অংশ জুটতো। এই ফল চুরিবিদ্যার কারণে তাদের কপালে অনেক সময় খড়গ নেমে আসতো। বিশেষ করে বাগানমালিক আকরাম উল্লাহর বড় বউ জামেলা যেদিন মিনিদের বাড়ি মুখো হয়ে এলোপাথারী গালিগালাজ করতেন। 
বাড়িতে থাকলে মিনি মায়ের যাবতীয় কাজে হাত মিলায়। সকালের থালা বাসন কোসন মাজা থেকে শুরু করে বাড়ির ধারে কাছে থেকে শাক তুলে আনে। শাক বেছে ধূয়ে মায়ের হাতে তুলে দেয়। এরপর তাদের পুকুরটাতে প্রানভরে সাঁতার কেটে গোসল সারে। সঠিক সময়ে স্কুলে যায়। দেখতে যেমন ফুটফুটে সুন্দর তেমনি স্কুলে পড়াশুনায়ও যথেষ্ট ভালো। যেন গোবরে পদ্মফুল। এজন্য শিক্ষকদের কাছে তার আলাদা আদর তোলা। পাড়াপড়শীড়াও অনেক আদর করে মিনিকে। 
বলা চলে মিনি আর মজিদের বড় হওয়ার স্বপ্নে মানুষের মত মানুষ হওয়ার আশে মর্জিনা বেগম জগত সংসারে বেঁচে আছেন। সম্পত্তির মধ্যে কয়েক শতক ভিটে মাটি। কয়েকটি আমগাছ জামগাছ কিছু সুপারি গাছের সারি। বাড়ির পাশের পুকুরটা আর পোষাপ্রাণি। এই নিয়েই তার জগত সংসার।
শীতের ছুটিতে মিনি নানার বাড়িতে বেরাতে গেছে। যদিও সেইকূলে নানী ছাড়া তাকে আদর আপ্যায়নের তেমন কেউ নেই। তবুও উড়ন্ত পাখির মত মন। ছুটে ছুটে যায় নানা বাড়ীতে। কয়েকদিন ঘুরেফিরে আবারও ফিরে আসে। এবার বেশ কিছুদিনের জন্য গেছে। ফিরে আসার নামটিও নেই। এদিকে তার মা তার জন্য পথ চেয়ে বসে আছে। আজ যেন আকাশের বাধ ভেঙ্গে গেছে। তার চোখ ছাপিয়ে অনবরত জল ঝরছে। তাকে দেখার জন্য মন বড় উতলা।

আকরাম উল্লাহ! দেখতে নাদুস নুদুস চেহারার। বেটে খাটো বেশ জেল্লাধরা বপু। দাড়ী গোঁফ সব পেকে গেছে। মেহেদী মেখে নুরানী ভাব ফুটিয়ে তুলেন। বয়সের ভাড়ে কিছুটা ন্যুজ। তবুও ন্যুজ নয় তার পুরুষ তন্ত্র। এই বয়সে এসেও কয়েক বছর আগে বউ করে নিয়ে এসেছেন এক সুন্দরী তরুনীকে। বড় বউ জামেলা বেগমের শরীর এখন আর আগের মত চলে না। ফলে সংসারের সব কাছ গোছাতে পারছেন সঠিকতালে। এই অযুহাতে হাসনা বানুকে তার ফাই ফরমাশ খাটার জন্য বউ করে নিয়ে এসেছেন। 
হাসনা বানুর বাবা পেশায় তাতী। পাশের গ্রামে বাড়ী। মজিদের পুত্র কলেজ পড়ুয়া মালেকের সাথে হাসনা বানুর বেশ কিছুদিন ধরে মন লেনাদেনা করার ব্যাপারটা ফাঁস হয়ে যায়। বিচার বসে। সেই বিচারে এলাকার বিধি মোতাবেক প্রধান বিচারক নিয়োগ হন আকরাম উল্লাহ। হাসনা বানুকে বিচারের কাঠ গড়ায় দেখে আকরাম উল্লাহর চোখ চকচক করে উঠে। সর্বসম্মতিতে বিশেষ করে আকরাম উল্লাহর বিচারের রায় হয় আগামী তিন দিনের মধ্যে তাকে বিয়ে দিতে হবে। সঠিক সময়ে পাত্র পাওয়া না গেলে আকরাম উল্লাহ স্বয়ং প্রস্তাব পাঠান। তাতী যেন কোন এক ঘোর অন্ধকারের মধ্যে আশার আলো দেখেন। অতি সত্ত্বর মেয়ের বিয়ে দিয়ে নিজে উদ্ধার হন তথা সমাজ উদ্ধার করেন।
হাসনা বানু এই আইবুড়ো স্বামীকে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারেনা। তাইতো কথায় কথায় অবাধ্য হয়। আর সামান্য পান থেকে চুন খসলেই তার কপালে নেমে আসে অত্যাচারের খড়গ। নিত্যদিনই তাকে গুনতে হয় খেসারত। গুনতে হয় বাড়ীর পাশের বাশঝাড়ের কঞ্চি। এভাবেই কয়েক বছর কেটে গেলে হাসনা বানুর কোলে আসে একটি ছেলে সন্তান। মূলত এই সন্তানের দিকে চেয়ে থেকেই আকরাম উল্লাহর সংসারে খুটি ধরে আছে হাসনা বানু।

কামরুল আহসান। মর্জিনা বেগমের স্বামী। তিনি মির্জাপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মানুষ গড়ার কারিগড় হিসেবে বেশ সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে আসছিলেন। চারিদিকে যখন যুদ্ধের দামামা বেজে উঠলো তিনি আর থাকতে পারলেন না। নতুন দেশ গড়ার অঙ্গীকারে স্বদর্পে অংশগ্রহণ করলেন। মুক্তিবাহিনীতে যোগদান করে স্বশস্ত্র যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়লেন। যুদ্ধের দিনগুলোতে বাড়িতে মর্জিনা বেগম কোলের শিশু মজিদ আর মিনিকে নিয়ে শত আশংকায় দিন গুজরাতে থাকলেন। 

এলাকার দামাল ছেলেদের সাথে নিয়ে কামরুল আহসান একে একে শত্রু দূর্গ ভেঙ্গে চুরমার করতে থাকলেন। পাকিস্থানী সেনাদের মনোবল ভেঙ্গে পড়লো। এদিকে আকরাম উল্লাহর নেতৃত্বে আল বদর বাহিনী বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে তরুনী এবং যুবতী মা বোনদের খবরাখবর পাক সেনাদের কানে পৌঁছিয়ে ধর্ষনের পথ খুলে দিতে থাকলেন। আকরাম উল্লাহর মাধ্যমে যুদ্ধে কামরুল আহসানের ভূমিকার কথা পাকিস্থানী সেনাদের কানে পৌঁছে। তারা মরিয়া হয়ে উঠলো। যে করে হোক কামরুলের মস্তক চাই। কয়েক দিন ঘুরাফিরা করেও কামরুলকে নাগালে পেলোনা। একরাতে তারা দুটি মাছুম বাচ্চাকে কোল থেকে কেড়ে নিয়ে দূরে ছুড়ে দিল। মর্জিনা বেগমের চুলের মুষ্ঠি ধরে টেনে হিচড়ে সেনা ক্যাম্পে উঠিয়ে নিয়ে গেল। 
পরের দিন কামরুলের চাচাতো ভাই হাসমত এই খবর নিয়ে আসলো। হাসমত জন্মগতভাবে বোবা। ছোটকাল থেকে কামরুলের সাহচর্চ পছন্দ। কামরুল তার কথাবার্তা আকার ঈঙ্গিতে অনেকখানি বুঝে। এলাকার সব খবরাখবর হাসমতের মাধ্যমেই নিতেন। তার কথাবার্তার ঈঙ্গিতে যা বুঝার বুঝে নিলেন। এরপর কামরুল আর নিজেকে স্থির রাখতে পারলেন না। তার সাথে থাকা যোদ্ধারা এতদিন যুদ্ধ করতে করতে বেশ হাঁফিয়ে উঠেছে। অনেকে পাক বাহিনীর বন্ধুকের নলে ঝাঝড়া হয়ে গেছে। অনেকে আবার অসুস্থ। উপায়ান্তর না দেখে প্রাণবাজী রেখে একাই ঐ ক্যাম্পে হামলা চালালেন। কিন্তু পাক বাহিনীর শত বন্ধুকের নলের কাছে মুহুর্তেই তার বুক ঝাঝড়া হয়ে গেল।

কয়েকদিন পর বিভীষিকাময় যুদ্ধ শেষ হয়ে গেল। সবুজ জমিনে শত দামাল ছেলের রক্তে রাঙানো সূর্য উঠলো। চারিদিকে ধ্বংস স্তুপের ভিতরে শ্যাওলা গজানোর মত অনেক মা বোনের লাশ বের হয়ে আসলো পাক সেনা ক্যাম্প থেকে। সেখান থেকেই বিবস্ত্র এবং মৃতপ্রায় মর্জিনা বেগমকে পাওয়া গেল। বেশ কিছুদিন ভারসাম্যহীন অবস্থায় কাটানোর পর সুস্থ হয়ে উঠলেন। সব কিছু হারিয়েও ফুটফুটে দুটি শিশুসন্তানের মুখপানে চেয়ে তিনি স্বাধীনতার সাধ তথা বাঁচার তাগিদ অনুভব করলেন। 
স্বামী কামরুল হাসান যে জায়গা জমিটুকু রেখে গিয়েছেন তা বর্গা দিয়ে যে ফসলাদি পান তাই দিয়ে কোনক্রমে সংসার চালান। ভিটেমাটিটুকুতে সবজী ফলান। হাস মুরগীর ডিম বিক্রি করে আর পুকুরটিতে মাছ চাষ করে দিনগুলো দিব্যি চলে যেতে থাকলো।

বোবার শত্রু নেই। এই কথাটি মনে হয় হাসমতের জীবনের সাথে যায় না। সে আকরাম উল্লাহর চোখেরবালিতে পরিণত হলো। বিশেষত চিরকুমার হাসমত মর্জিনা বেগমের গৃহস্থালীর যাবতীয় কাছে সহযোগীতা করছে। এটা ওটা দেখাশুনা করছে। প্রায় সারাদিনমান মর্জিনা বেগমের বাড়িতে থাকছে। এমনকি মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পরও তার বাড়িতে রয়ে যায়। মিনি আর মজিদের পড়াশুনা করা দেখে, বই গুলো নাড়েচাড়ে। মর্জিনা বেগমের রান্না বান্না করায় সহায়তা করে। অনেক সময় রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে ফিরে। 

আজ সালিশ বসবে। মর্জিনা আর হাসমতের গোপন প্রণয় নিয়ে। সেখানে প্রধান বিচারক স্বয়ং আকরাম উল্লাহ। তিনি প্রধান সাক্ষ্যিও বটে। আকরাম উল্লাহ যুদ্ধের পর গ্রামের মসজিদের মুয়াজ্জিন হয়েছেন। সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আযান তিনিই দেন। ঈশার নামাজের পর পুরো গ্রাম পায়চারী করে এ বাড়ি ও বাড়ীর ভালো মন্দ খোঁজ খবর নেন। গ্রামে পায়চারী করতে গিয়ে গতকাল রাত্রে মর্জিনা আর হাসমত কে মর্জিনা বেগমের বিছানায় বিশেষ অবস্থায় দেখেছেন। এই নিয়ে সালিশ বসবে। মর্জিনা বেগম উৎকন্ঠায় দিন গুজরাচ্ছেন। বিশেষ করে আকরাম উল্লাহ যেখানে বিচারক। সেখানে রায় কি হতে পারে ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছেন না। 

বস্তুত গতকাল সন্ধ্যার পরপরই মজিদ ঘুমিয়ে পড়ে। মর্জিনা একা বসে রাতের রান্না করতেছিলেন। হাসমতও ছিল না। এই সুযোগে আকরাম উল্লাহ মর্জিনার কাছে উপস্থিত হয়। উপস্থিত হয়েই কূ প্রস্তাব দিলে সে দূরে সরে যায়। এটা ওটা বলে আর অনেক প্রলোভন দেখিয়ে রাজী করানোর চেষ্ঠা করেন। শেষে রাজী করতে অপারগ হলে জোরজবরদস্তী শুরু করেন। ধস্তাধস্তীর এক পর্যায়ে মর্জিনা বেগম আকরাম উল্লাহর ডানহাতের কবজির উপর কামড় বসিয়ে দেন। এরপর মর্জিনা বেগম বটি নিয়ে ধেয়ে আসলে আকরাম উল্লাহ প্রাণভয়ে সটকে পরে। 
১০
রাতে সালিশ বসলো। আকরাম উল্লাহ মর্জিনা বেগমকে একশত দোররা মারার রায় ঘোষনা করলেন। হাসমত কে আগামীকাল সূর্য উঠার আগেই গ্রাম ছাড়ার আদেশ দিলেন। সমবেত জনতা কেউ কেউ সহানুভূতি প্রকাশ করে মর্জিনা বেগমের জন্য পঞ্চাশ দোররা করার পক্ষ্যে বললেন। গ্রামের ভূখানাঙ্গা লোকের কথার কানাকাড়ি মূল্য নেই তার কাছে। তিনি একশত দোররা মারার হুকুম বলবৎ রাখলেন। দশ দোররার পরপরই মর্জিনা বেগম জ্ঞান হারালেন। বিচার যথেষ্ঠ হয়েছে মনে করে তাকে একঘরে করার পরিকল্পনা করে সবাই যারযার ঘরে চলে গেল।
মাঝরাতে জ্ঞান ফিরলো। মর্জিনা বেগম চোখ খুলেই মজিদকে দেখতে পান। তার মাথার কাছে গুটিসুটি মেরে বসে আছে। এরপর হাসমত আর মজিদের হাত ধরে কোন রকমে বাড়িতে পৌঁছেন। হাসমত আকরাম উল্লাহর উপর ক্রুদ্ধ হয়ে উঠে। মর্জিনা বেগমের রান্না ঘর থেকে বটিটা নিয়ে বুক উচিয়ে রাতের আধার চিরে চলে যায়।
সূর্যদয়ের আগেই মর্জিনা বেগম মজিদকে নিয়ে গ্রামছাড়া হন।
১১
ফজরের নামাজের পর গ্রামে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ পরে বের হলে হাসমত আকরাম উল্লাহর গলায় বটির কোপ বসিয়েছে। সেই কোপে জবাইকৃত ছাগলের মত আধাঘন্টাব্যাপী ছটফট করতে করতে সবার সামনেই মারা যায়। উপস্থিত লোকজন হাতে নাতে হাসমত কে ধরে ফেলে। এরপর সকাল দশটার দিকে পুলিশ এসে হাতকরা পরিয়ে আর কোমড়ে দড়ি পেচিয়ে টেনে হিচড়ে থানায় নিয়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ