মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১১

কোন বিবর্তনের মাধ্যমে নয়, সৃষ্টিকর্তাই সমস্ত জীব প্রজাতি সৃষ্টি করছেন

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি), দিনাজপুর’র কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ডঃ: মোঃ আব্দুল আহাদ আধুনিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণালব্ধ তথ্যের দ্বারা ওপারিন হিয়োরী ও মর্ডান সিনথেটিক থিয়েরী ভুল প্রমাণ করেছেন। তার গবেষণা প্রবন্ধ দু’টি ভারতের কোলকাতা থেকে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল জর্নাল অব বায়োরিসোর্স এন্ড স্ট্রেস ম্যানেজম্যান্ট (একটি পার রিভিউ জর্নাল) এর যথাক্রমে মার্চ ও জুন ২০১১ ইং সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টিতে বাংলাদেশ ও ভারতের বিজ্ঞানীদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

ওপারিন ইন থিয়েরী ওপারিন-হ্যান্ডেল থিওরী নামেও পরিচিত। রাশিয়ান বিজ্ঞানী ওপারিন ১৯২৯ সালে ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানী হ্যান্ডেল ১৯৩৪ সালে যুক্তি দেখান যে, আদি সাগরে পানি, মিথেন ও অ্যামোনিয়া মিলিত হয়ে রাসায়নিক বির্বতনের মাধ্যমে সতঃর্স্ফুত ভাবে একটি এককোষী জীবের উৎপত্তি লাভ করে। পরর্বতীতে সময়ের ব্যবধানে বিবর্তনের মাধ্যমে ঐ এককোষী জীব হতে মানুষসহ পৃথিবীর সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণী উৎপত্তি লাভ করেছে। আদি জীবের উৎপত্তি প্রসঙ্গে এই মতবাদ বিজ্ঞনীদের মধ্যে একমাত্র গ্রহণযোগ্য থিওরী, ফলে ওপারিনকে আধুনিক যুগের ডারউইন বলা হয়। ড. আহাদ প্রমাণ করেছেন সতঃর্স্ফুত নয়, সৃষ্টি কর্তাই- আদি জীব সৃষ্টি করছেন ডারউইনও তাই বিশ্বাস করতেন। মর্ডান সায়েন্টিফিক থিয়োরী ডারউইন থিওরীর আধুনিক এবং সংশোধিত রূপ। এই থিওরীর মতে আদি সাগরের উদ্ভব ওই এককোষী জীব হতে মোলিকুলার বিবর্তনের মাধ্যমে পথিবীর সমস্ত জীবের উৎপত্তি লাভ করেছে। বিজ্ঞানীদের মধ্যে এ থিওরী সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য।

প্রফেসর ড. আহাদ আধুনিক বংশগতি বিদ্যার বিভিন্ন বিজ্ঞানীর আধুনিক গবেষণা প্রাপ্ত তথ্যের দ্বারা প্রমাণ করেছেন যে, বিবর্তনের ফলে নতুন প্রজাতির উৎপত্তি হয় না, শুধু নতুন জাতের উৎপত্তি লাভ করে। কিন্থ রিপ্রেডাকটিভ আইসোলেশন ক্ষমতা অর্জনে ব্যথতার কারণে উক্ত নতুন জাত আদি অবস্থায় বা পিতার-মাতার বৈশিষ্ট্যে ফিরে আসে অর্থ্যৎ নতুন প্রজাতি উৎপত্তি লাভ করে না, সৃষ্টি কর্তাই সমস্ত জীব প্রজাতি সৃষ্টি করছেন। বিবর্তনের মাধ্যমে জীব প্রজাতি উৎপত্তি লাভের কোন নজির নেই, বিজ্ঞানীরা দিতে ব্যর্থ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ