মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১১

কি পাশবিক নির্যাতন !


গত ফেব্রুয়ারীতে মিশরে হোসনে মোবারকের পতন হলে অনেক মিশরীয় ধারণা করেছিলেন তারা হয়ত গণতন্ত্রের পতাকা উড়াতে পারবেন,কিন্তু দিন যত যাচ্ছে মাথার উপর চেপে থাকা সামরিক জান্তারা মিশরীয়দের ভাগ্য নিয়ে তত বেশি ছিনিমিনি খেলছে । মিলিটারি কর্তক সাধারণ জনগণের উপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গেছে বহুগুনে । আমেরিকার ডলারে পোষা মিশরীয় সেনাবাহিনীর এই নির্যাতনের খবর হোয়াইট হাউস অব্দি পৌছায়না । গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরেছে মিশরীয় সেনাবাহিনী । তাদের সেই অত্যাচার সোমবার এক নতুন মাত্রা
 ক্ষমতার মসনদে আসন গেঁড়ে থাকা সেনাবাহিনী সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে টালবাহানা শুরু করলে গত শুক্রবার থেকে আবারো রাস্থায় নেমে আসে মিশরীয়রা। সোমবার বিক্ষোভের চতুর্থ দিনে মিশরীয় সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য এক নারী বিক্ষোভকারীকে বেদম প্রহার করে , শার্ট ধরে দুই সৈন্য টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাবার এক পর্যায়ে ঐ নারীর পোশাক খুলে যায় এবং ঐ নারীর শরীর উন্মুক্ত হয়ে যায় । ফুটেজে দেখা যায় ঐ নারী বিক্ষোভকারীকে বিবসনা করার পরও সৈন্যরা তার পেটে লাথি মারছে এবং হাসি-তামাসা করছে । বিষয়টি জানাজানি হলে মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়,সাধারণ মিশরীয়রা অত্যন্ত ক্ষূদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার মিশরের রাস্থায় নেমে আসে ,হাজার হাজার মিশরীয় কায়রোর তাহরির স্কোয়ারে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করলে সৈন্যদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয় । এই সময় নারী বিক্ষোভকারীরা সামরিক পরিষদের প্রধান জেনারেল তানতাভিকে কাপুরুষ বলে শ্লোগান দেয় এবং অবিলম্বে সামরিক শাসনের অবসান দাবী করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ।বিক্ষোভকারীরা ঐ অত্যাচারিত নারীর উদ্দেশ্য মঙ্গলবারের বিক্ষোভকে উৎসর্গ করেছে । কয়েকজন নারী বিক্ষোভকারী জানান, বিক্ষোভের সময়ে গত কয়েকদিনে আটক নারীদের উপর মিলিটারী সদস্যরা উৎপীড়নের পথ বেছে নিয়েছে । মিশরের সামরিক পরিষদের সদস্য জেনারেল আদেল সংবাদমাধ্যমকে জানান, সোমবার ঐ নারী বিক্ষোভকারীর উপর সামরিক সদস্যদের নির্যাতন একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে । এই ঘটনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রি হিলারী ক্লিনটন নারীদের প্রতি আরো সহনশীল হতে মিশর সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে । নারীর প্রতি এই সহিংস আচরণের বিষয়টি মিশরের সাধারন মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে । ধারণা করা হচ্ছে আগামী শুক্রবার কায়রোতে বড়ধরনের সমাবেশ হবে ,যা পূর্বের দিনগুলোর মত সহিংসতায় রুপ নেবার আশঙ্কা রয়েছে,গত ৫ দিনের সহিংসতায় ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং প্রায় ৬৫০ জন আহত হয়েছে । (সুত্র আল জাজিরা)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ