মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১১

যে ভালবাসা কিছুই আমাকে দেয়নি.

ইদানিং বন্ধুদের জালায় বিরক্ত হয়ে উঠেছি। ওদেরকে সামলানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। ওদের সাথে বেড়াতে যাবার যোগ্য আমি নই কেন আমি একা, আমার সাথে কোন ইয়ে নেই। তাই ওরা আমাকে ডাকলেও আমি ওদের সাথে যাই না ইচ্ছা করে, কেমন যেন আন ইজি ফিল করি।
অনেক মেয়েকে দেখেছি, বন্ধুরাও দেখিয়েছে। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে অনেকেই কিন্তু কখনও সাহস করিনি। আর সাহস করতামই বা কিভাবে, মন তো অন্য কোথাও পড়ে আছে, পাছে দুই ডালে পা দিয়ে ধরা খেলে লেজে গোবরে অবস্থা অনেকের হয়েছে সেগুলো দেখার অভিজ্ঞতা আমার আছে। তাই ঠকে না শিখলেও দেখে শিখেছি। দুই স্থানে মন বিতরণ করতে নেই।
আমি পড়াশুনার সুবাদে শহরে থাকলেও ও গ্রামে থাকতো। বাবার তৈরী বিশাল অট্টলিকায়। আর রাতের ড্রিম লাইটের আবছা আলোতে সিলিং ফ্যানের শব্দ ছিল আমার সাথী। কত রাত মেসের সাদা রং করা দেয়ালের পর্দায় তার ছবি দেখে যে, ঘুম পড়েছি তার ইয়াত্তা নেই। তাই অনেক অনেক বেশী ভালবাসতাম, তাই তো অন্য কারো দিকে চোখ দেয়ার পর্যন্ত সাহস করতাম না, পাছে বিধাতা তাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নেয় কি না। 
ও তখন খুব ছোট শীতের সকালে পুকুর পাড়ে বসে মাছ ধরা দেখছিলাম। এমন সময় ও আমার পাশে এসে বসলো। এর আগে ওকে অনেকবার দেখলেও তখন কিছু মনে হয়নি। কিন্তু ঐ দিন আমার দিকে তাকিয়ে মনে হল আমার অন্তরের আকৃতিকেও ও মেপে দেখছে। আমি ওর দিক থেকে শত চেষ্টা করেও চোখ ফেরাতে পারিনি। ও তখন বেশ ছোট। 
এর পর আমি চলে আসলাম শহরে ও গ্রামেই রয়ে গেল। মাঝে মাঝে ছুটিতে বাড়ি যেতাম। তখন দেখতাম ওকে প্রাণ ভরে। তখন মনে হত বাড়ীতে যেয়ে যদি ওকে দেখতে না পাই তবে বাড়ী যাও স্বার্থক হবে না। এভাবে কেটে গেল দীর্ঘ ৮টি বছর। ও আগের চেয়ে আকর্ষণীয় ও সুন্দরী হয়ে উঠেছে। আমার বন্ধু মহলে সকলেই জানে যে, আমি ওকে ভালবাসী এই জন্য কেউ চান্স নেয়ার জন্য ঘুরঘুর করলে তাকে সতর্ক করে দেয়া হত যে, ‘বুক্‌ড’। 
পাঠকরা হয়তবা অবাক হবেন, আমি সেই পুকুর পাড়ে দেখার পর এ ৮ বছরের মধ্যে তাকে কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। আমি আসলেই জানতাম না ৮ বছর পর ওর চেহারা কেমন হয়েছে। এখনো আবছা মনে আছে একটা ছোট্ট তীল ওর ঠোটের নীচে ছিল।
ঘুম আসছে আরেকদিন বাকিটা শুনবেন আজ থাক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ