মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১১

হানিফ এন্টারপ্রাইজে ডাকাতি, মিডিয়াতে অপ্রকাশিত ঘটনা



৩ রা ডিসেম্বর ২০১১, রাত ১১-৩০ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেসে রওনা হলো বাস হানিফ। Volvo অত্যাধুনিক বাস !! বাস চলতে লাগল রাত ২ টা নাগাদ বাস ফেনী মহিপাল রেইল গেইট ক্রস করার পর ৭/৮ জন লোক সিট থেকে উঠে গেল । তাদের মধ্য থেকে ১ জন ড্রাইভের এর দিকে এগিয়ে গেল ডেগার ( ছোরা ) বের করে গলায় ঠেক দিয়ে , গাড়ীর নিয়ন্ত্রন নিজেরাই নিয়ে নিল । তারপর ড্রাইভার এবং সহকারী কে তারা পিছনের সিটে নিয়ে গেল এবং একজন তাদের কে ছোরা দিয়ে ঠেকিয়ে রাখলো, বাকীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাত্রি দের কাছে চলে আসে এবং অস্ত্র ঠেকিয়ে খুব দ্রুত যাত্রি দের কাছে থাকা মুল্যবান জিনিস পত্র হাতিয়ে নিতে থাকে,প্রথমে মোবাইল তারপর মানি ব্যাগ , ল্যাপ্টপ ঘড়ি , ছোট ব্যাগ যার কাছে যা ছিল সব ছিনিয়ে নিতে লাগলো , যারা অস্বীকৃতি , প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছিল তাদের কে চড় থাপ্পর দিতে লাগল , এক মহিলার কোলের ছোট্ট শিশুকে গলা চেপে তার রক্ত বের করে ফেলল । এভাবে প্রায় ২৫/৩০ মিনিট গাড়ী চলল , গাড়ী চালাচ্ছিল ডাকাত দলেরই একজন মনে হচ্ছিল যেন আগের ড্রাইভার এর চেয়ে সে পাকা ড্রাইভার। ডাকাতি শেষ করার পর তারা গাড়ী টা এক পাশে থামিয়ে সব কিছু নিয়ে সবাই নেমে পড়ে ।

এর পর গাড়ীর ড্রাইভার ও সহকারি এসে গাড়ীর নিয়ন্ত্রন নেয় এর পর বাস চৌদ্দগ্রাম টাইম স্কোয়ারে যাত্রা বিরতি করে । বাসের ড্রাইভার ও সহকারি কে চিন্তিত মনে হল না তারা শুধু যাত্রীদেরকে বলল আপানারা যদি নাস্তা করতে চান ওটার বিল আমরা দিব । আর বলা হল ঢাকায় জানান হইসে । বাস আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হল।

ভোর ৫ টায় আমাদের ঢাকায় নামিয়ে দিল, কাউন্টারে নেমে অভিযোগ করলাম তারা বলল চৌদ্দগ্রামে ভিডিও সহ মামলা হইসে ব্যাস অতটুকুই। এত বড় একটা দূঘর্টনা হলো পরের দিন কোনো মিডিয়া তে দেখলাম না !!! পরবর্তী তে হানিফ বাসের কতৃপক্ষের যোগাযোগ করা হলে তারা পাশ কেটে যাওয়ার চেষ্টা করে এখনো পর্যন্ত তারা কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারে নাই অর্থাৎ কোনো কুল কিনার করতে পারে নাই। এভাবেই ঘটনার বর্ননা করেন সেই দিনের হতভাগ্য যাত্রী মোঃ আহসান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ