কি শিরোনাম দেখেই ভড়কে গেলেন? আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করাবো এমন ৫ টা প্রাণী যেগুলো কে মারা প্রায় অসম্ভব অথবা যেগুলো যে কোনো সিচুয়েশনই সারভাইভ করতে পারে।
১. ইস্ট আফ্রিকান জায়ান্ট স্নেইল :
৭ সে,মি উচ্চতা এবং ২০ সে,মি দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই জাতীয় স্নেইল মূলত ইস্ট আফ্রিকান হলেও সাউদার্ণ ও ইস্টার্ণ এশিয়াতে ব্যপক হারে এদের দেখা যায়।। ইস্ট আফ্রিকান লোকজন বিষ, আগুন দিয়ে নানান ভাবে চেষ্টা করলেও এই প্রাণীকে হত্যা করতে পারে নি। এরা সাধারণত গাছ, লতা-পাতা ফল-মূল খেয়ে বেচে থাকে।

২. ওয়াটার বিয়ার:
টারডিগ্রেড বা ওয়াটার বিয়ার নামে সুপরিচিত এই মাইক্রোস্কপিক প্রাণীর শরীরে রয়েছে অস্বাভাবিক সহ্য ক্ষমতা। এরা একটি নিউক্লিয়ার বোমা এবং -২৭৩ ডিগ্রী পর্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রা সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও প্রায় এক যুগ ধরে পানি ছাড়া সারভাইভ করতে পারে। এদের মারার একমাত্র উপায় হচ্ছে পৃথিবীর বাইরে পাঠিয়ে দেয়া যেখানে ধরে নেয়া হয়েছে ১০ দিন এরা অনায়াসেই কাটিয়ে দিতে পারবে।

৩. ট্রি ওয়েটা:
এদের পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণী হিসেবে একসময় বেশ সুপরিচিত ছিলো। এদের রক্তে এক ধরণের স্পেশাল প্রোটিণ আছে যাতে করা এরা যে কোনো অবস্থায় রক্ত সন্চালন সচল রাখতে সক্ষম। কোনো ভাবে তাদের বরফে পরিণত করা হলেও এদের রক্ত চলাচল বন্ধ হবে না, পরিস্থিতি নরমাল হলে এরা আবার আগের মত চলাফেরা করতেই সক্ষম। এ পুরাই মরে বেচে উঠার মত অবস্থা লাইক যোম্বি!

৪. লাংফিশ:
এরা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন জলজ প্রাণী হিসেবে খ্যাত। এদের অবস্থা লক্ষ্য করা যায় শুধু মাত্র আফ্রিকা, সাউথ এমেরিকা আর অস্ট্রেলিয়াতে। এরা টানা ৬ মাস বাতাস এবং পানি ছাড়া বেচে থাকতে পারে। ছয় মাস পর সামান্য পানি পেলেই এরা আবার সারভাইভ করতে পারবে।

৫. অমর জেলীফিশ:
সত্যিকারের অমর বলা যায় এই প্রজাতির জেলীফিশ কে। এরা স্বাভাবিক অন্য জেলীফিশের মত জন্ম গ্রহন করলেও লাইফের একটা স্টেইজে গিয়ে এরা আবার পলিপ(অর্থাৎ জন্মাবস্থায়) ফিরে যায়, আর এভাবেই এর লাইফ সার্কেল চলতেই থাকে অনির্দিষ্ট সময় ধরে।

এছাড়াও ব্যকটেরিয়া, হাইড্রা এবং লবস্টারকেও বায়োলজিক্যলি অমর বলা হয় ভিন্ন ভিন্ন কারণে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন