মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১১

এখন তো যুদ্ধ নেই, তাহলে লাশের মিছিল কেন?

মুক্তিযোদ্ধ আমি দেখিনি। তবে শুনেছি নয় মাসের যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে গুপ্তহত্যার শিকার হাজার হাজার বাঙ্গালীর লাশ নদী নালা খাল বিলে ভেসে উঠতো। মানুষ মনে করতো এগুলো পাকিস্তানীদের এবং তাদের দুসরদের কাজ। কিন্তু এখন তো দেশে যুদ্ধ নেই। পাকিস্তানী আর্মিও নেই (আছে কিছু নতুন পুরাতন রাজাকার আলবদর)। তবে কেন একটি স্বাধীন দেশে আজও লাশ ভেসে উঠবে নদীতে? গুপ্তহত্যার শিকার এই লাশের মিছিলের অভিশাপ কি ঘুচবে না আমাদের ভাগ্য থেকে।


মুন্সিগঞ্জে ধলেশ্বরী নদী থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে। তবে তাদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। লাশগুলোর সঙ্গে সিমেন্টের বস্তা বাঁধা ছিল। এ ছাড়া হাত ও পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। তিনজনের মাথায় ক্ষত রয়েছে। পুলিশের ধারণা, তাদের গুলি করে হত্যা করা হতে পারে। ময়নাতদন্ত হলে প্রমাণ পাওয়া যাবে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, তাদের তিনজনকে যে একই ঘটনায় হত্যা করা হয়েছে, তার প্রমাণ হচ্ছে, সবারই হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল এবং শরীরের সঙ্গে শাহ সিমেন্টের বস্তা বাঁধা ছিল। তাদের পরনে ছিল কালো রঙের প্যান্ট। একজনের গায়ে গ্রামীণ চেক শার্ট আর দুজনের গায়ে ছিল গেঞ্জি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
পুলিশ আরও জানায়, লাশ তিনটি পচে অর্ধগলিত অবস্থায় ছিল। লাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ৮-১০ দিন আগে তাদের হত্যা করে নদীতে ফেলা হয়েছে।
লাশগুলো মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার মোল্লারচরে ধলেশ্বরী নদী থেকে আরও দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি ঢাকার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের নেতা। অন্য লাশটিকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ