আজ সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে সাক্ষী মাহবুবুল আলম আগের দিনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রশ্ন শুরু করেন সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম। তাকে সহায়তা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম।
আইনজীবী : একজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২০০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি আপনি পিরোজপুর ডিসির কাছে আরেকটি আবেদন জমা দেন ঢেউটিন চেয়ে। বিষয়টি কি সত্য?
সাক্ষী : করতে পারি।
আইনজীবী : প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়ে প্রথম যে আবেদন করেছিলেন তাতে সাহায্য পেয়েছিলেন?
সাক্ষী : হ্যাঁ।
আইনজীবী : কত টাকা?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : দ্বিতীয় দরখাস্তে কত টাকা সাহায্য পান?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : কত বান টিন পেয়েছিলেন মনে আছে?
সাক্ষী : তাও মনে নেই।
আইনজীবী : প্রথম দরখাস্তে আপনি বলেছিলেন আপনার বাড়িঘর পাক হানাদার বাহিনী রাজাকারদের সহায়তায় লুটপাট করে।
সাক্ষী : হ্যাঁ।
আইনজীবী : দ্বিতীয় দরখাস্তে বাড়িঘর লুটপাট এবং ক্ষতি সাধনের কথা বলেননি।
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : আপনার পেশা কী?
সাক্ষী : মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের সাথে জড়িত।
আইনজীবী : সংসারে আয়ের উৎস কী?
সাক্ষী : মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা পাই এবং বসতভিটা থেকে যে আয় হয় তা থেকে চলে যায়।
আইনজীবী : আপনি বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা বেগমের সাথে বসবাস করছেন?
সাক্ষী : হ্যাঁ।
আইনজীবী : আপনার স্ত্রী দুস্থ মাতা কার্ড সংগ্রহ করে ৩০ কেজি চাল সংগ্রহ করেছেন ২০১১ সালে?
সাক্ষী : হ্যাঁ। শিশু কার্ড পেয়েছে। ভিজিএফ কার্ড নয়।
আইনজীবী : আপনার বাড়ি তৈরির সাল বলতে পারবেন?
সাক্ষী : ৬-৭ বছর আগে।
আইনজীবী : দালান বাড়ি তৈরির কাজ এ সরকারের আমলে শুরু হয়?
সাক্ষী : সত্য নয়।
আইনজীবী : আপনি সক্ষ্যে বলেছেন সব পিরোজপুরে আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা গোয়েন্দা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পিরোজপুরে তখন পিরোজপুর সদর, কাউখালি, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, স্বরূপকাঠী এবং নাজিরপুর থানা ছিল?
সাক্ষী : সঠিক মনে নেই।
আইনজীবী : মঠবাড়িয়া থানা পিস কমিটির সভাপতি সেক্রেটারি কারা ছিলেন?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : মঠবাড়িয়া থানার রাজাকার কমান্ডার কে ছিলেন?
সাক্ষী : খেয়াল নেই।
আইনজীবী : আল বদর, আল শাসম কমান্ডার?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : ওই থানার ওসি, সেকেন্ড অফিসার, সার্কেল অফিসার কারা ছিলেন বলতে পারবেন?
সাক্ষী : মনে নেই। রইজুদ্দীন, সইজুদ্দিন এবং আমি তিনজনে ভাগ করে দায়িত্ব পালন করি। আমি পিরোজপুর এবং পারেরহাটের দায়িত্বে ছিলাম।
আইনজীবী : কিন্তু পূর্বে যে আপনি সাক্ষ্যদানকালে বলেছিলেন পুরো পিরোজপুর জেলায় গোয়েন্দা হিসেবে আপনি দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন এবং এলাকায় এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অবলোকন করেন এবং তা সুন্দরবন মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে সরবরাহ করেন? এ কথা কি তাহলে মিথ্যা?
সাক্ষী : আমার ভুল হতে পারে।
আইনজীবী : এ কথা আপনাকে কেউ শিখিয়ে দিয়েছিল?
সাক্ষী : কেউ নয়। আমার নিজের উক্তি।
আইনজীবী : আপনি মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর, কাউখালি, নেছারাবাদ এলাকায় কোনো দিন গোয়েন্দা হিসেবে যাননি?
সাক্ষী : আমার দায়িত্ব ছিল না। গোয়েন্দা হিসেবে যাইনি।
আইনজীবী : ভান্ডারিয়া এলাকায় কে গোয়েন্দার দায়িত্বে কে ছিলেন?
সাক্ষী : খেয়াল নেই।
আইনজীবী : কাউখালি, নাজিরপুর, স্বরূপকাঠী এলাকায় গোয়েন্দা কারা ছিলেন তাও আপনার মনে নেই?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : বরিশাল জেলার রাজাকার কমান্ডার কে ছিলেন বলতে পারবেন?
সাক্ষী : বলতে পারব না।
আইনজীবী : জিয়ানগর উপজেলা কোন সময় হয় বলতে পারবেন?
সাক্ষী : খালেদা জিয়া সরকারের সময়।
আইনজীবী : প্রথম বার না দ্বিতীয়বার?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : শঙ্করপাশা কি জিয়ানগর উপজেলায় পড়েছে?
সাক্ষী : কিছু অংশ আছে জিয়ানগরের পাশে।
আইনজীবী : শঙ্কর পাশার পিস কমিটির সভাপতি সেক্রেটারি কে ছিলেন?
সাক্ষী : মনে নেই। পারেরহাট কমিটিই শঙ্কর পাশার কমিটি সমন্বয় করত।
আইনজীবী : শঙ্কর পাশার পিস কমিটির সভাপতি ছিলেন একরাম খলিফা। এটা আপনি গোপন করেছেন।
সাক্ষী : সত্য নয়।
আইনজীবী : একরাম খলিফা শঙ্করপাশার চেয়ারম্যান ছিলেন?
সাক্ষী : সেটা জানি।
আইনজীবী : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আপনার এলাকায় প্রাদেশিক পরিষদে এবং জাতীয় পরিষদে মোট কতজন প্রার্থী ছিল বলতে পারবেন?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কতভোট পেয়েছিল মনে আছে?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : ১৯৭৪ সালে পিরোজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান কে ছিলেন মনে আছে?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : আব্দুস সালাম, পিতা নবাব আলী, গ্রাম উমেদপুর। একে চেনেন?
সাক্ষী : হ্যাঁ
আইনজীবী : আস্রাব আলী, পিতা মৃত সেকেন্দার আলী, গ্রাম হোগলাবুনিয়া। তাকে চেনেন?
সাক্ষী : চিনি না।
আইনজীবী : চিত্তরঞ্জন তালুকদার, গ্রাম উমেদপুর। একে চেনেন?
সাক্ষী : চিনতাম।
আইনজীবী : তিনি কি দেশে থাকেন?
সাক্ষী : মারা গেছেন।
আইনজীবী : কোন সালে?
সাক্ষী : এক বছর আগে।
আইনজীবী : ইউসুফ হাওলাদার, পিতা মোতাহার আলী, শঙ্করপাশা। তাকে চেনেন?
সাক্ষী : মনে করতে পারছি না।
আইনজীবী : আবুল বাশার মন্টু, পিতা মৃত এমদাদুল খান খোকন। একে চেনেন?
সাক্ষী : চিনি।
আইনজীবী : মিজানুর রহমান, পিতা আস্রাব আলী হাওলাদার। তাকে চেনেন?
সাক্ষী : চিনি।
আইনজীবী : তিনি কি দেশে আছেন?
সাক্ষী : মাঝে মাঝে দেখি।
আইনজীবী : পিরোজপুর আদালতে আপনি আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিলেন তাতে এদের সবাইকে আপনি সাক্ষী মেনেছিলেন এ কথা সত্য?
সাক্ষী : হ্যাঁ।
আইনজীবী : মাহবুব হোসেন, পিতা মান্নান হোসেন। তাকে চেনেন?
সাক্ষী : চিনি না
আইনজীবী : জাহাঙ্গীর পসারী, পিতা- সইজুদ্দীন পসারী। তাকে চেনেন?
সাক্ষী : চিনি।
আইনজীবী : একই লোকের আরেক ছেলে কাঞ্চন পসারীকে চেনেন?
সাক্ষী : না
আইনজীবী : হরিপদ মিস্ত্রি, চাদব চন্দ্র, মোজাহার খান, খবির হাওলাদার এদের চেনেন?
সাক্ষী : খেয়াল নেই।
আইনজীবী : আপনি ২/২/২০১১ তারিখ থানা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আল শামস কর্তৃক হত্যা ধর্ষণ, লুণ্ঠন অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়ে সংশোধনী এনে।
সাক্ষী : হ্যাঁ।
এরপর আরো দু’য়েকটি প্রশ্ন করার পর আজ তিনটায় আদালতের কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। আগামীকাল আবার সাক্ষী মাহবুবুল আলমের জেরা শুরু হবে।
সোর্স
আইনজীবী : একজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২০০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি আপনি পিরোজপুর ডিসির কাছে আরেকটি আবেদন জমা দেন ঢেউটিন চেয়ে। বিষয়টি কি সত্য?
সাক্ষী : করতে পারি।
আইনজীবী : প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়ে প্রথম যে আবেদন করেছিলেন তাতে সাহায্য পেয়েছিলেন?
সাক্ষী : হ্যাঁ।
আইনজীবী : কত টাকা?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : দ্বিতীয় দরখাস্তে কত টাকা সাহায্য পান?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : কত বান টিন পেয়েছিলেন মনে আছে?
সাক্ষী : তাও মনে নেই।
আইনজীবী : প্রথম দরখাস্তে আপনি বলেছিলেন আপনার বাড়িঘর পাক হানাদার বাহিনী রাজাকারদের সহায়তায় লুটপাট করে।
সাক্ষী : হ্যাঁ।
আইনজীবী : দ্বিতীয় দরখাস্তে বাড়িঘর লুটপাট এবং ক্ষতি সাধনের কথা বলেননি।
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : আপনার পেশা কী?
সাক্ষী : মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের সাথে জড়িত।
আইনজীবী : সংসারে আয়ের উৎস কী?
সাক্ষী : মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা পাই এবং বসতভিটা থেকে যে আয় হয় তা থেকে চলে যায়।
আইনজীবী : আপনি বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা বেগমের সাথে বসবাস করছেন?
সাক্ষী : হ্যাঁ।
আইনজীবী : আপনার স্ত্রী দুস্থ মাতা কার্ড সংগ্রহ করে ৩০ কেজি চাল সংগ্রহ করেছেন ২০১১ সালে?
সাক্ষী : হ্যাঁ। শিশু কার্ড পেয়েছে। ভিজিএফ কার্ড নয়।
আইনজীবী : আপনার বাড়ি তৈরির সাল বলতে পারবেন?
সাক্ষী : ৬-৭ বছর আগে।
আইনজীবী : দালান বাড়ি তৈরির কাজ এ সরকারের আমলে শুরু হয়?
সাক্ষী : সত্য নয়।
আইনজীবী : আপনি সক্ষ্যে বলেছেন সব পিরোজপুরে আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা গোয়েন্দা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পিরোজপুরে তখন পিরোজপুর সদর, কাউখালি, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, স্বরূপকাঠী এবং নাজিরপুর থানা ছিল?
সাক্ষী : সঠিক মনে নেই।
আইনজীবী : মঠবাড়িয়া থানা পিস কমিটির সভাপতি সেক্রেটারি কারা ছিলেন?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : মঠবাড়িয়া থানার রাজাকার কমান্ডার কে ছিলেন?
সাক্ষী : খেয়াল নেই।
আইনজীবী : আল বদর, আল শাসম কমান্ডার?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : ওই থানার ওসি, সেকেন্ড অফিসার, সার্কেল অফিসার কারা ছিলেন বলতে পারবেন?
সাক্ষী : মনে নেই। রইজুদ্দীন, সইজুদ্দিন এবং আমি তিনজনে ভাগ করে দায়িত্ব পালন করি। আমি পিরোজপুর এবং পারেরহাটের দায়িত্বে ছিলাম।
আইনজীবী : কিন্তু পূর্বে যে আপনি সাক্ষ্যদানকালে বলেছিলেন পুরো পিরোজপুর জেলায় গোয়েন্দা হিসেবে আপনি দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন এবং এলাকায় এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অবলোকন করেন এবং তা সুন্দরবন মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে সরবরাহ করেন? এ কথা কি তাহলে মিথ্যা?
সাক্ষী : আমার ভুল হতে পারে।
আইনজীবী : এ কথা আপনাকে কেউ শিখিয়ে দিয়েছিল?
সাক্ষী : কেউ নয়। আমার নিজের উক্তি।
আইনজীবী : আপনি মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর, কাউখালি, নেছারাবাদ এলাকায় কোনো দিন গোয়েন্দা হিসেবে যাননি?
সাক্ষী : আমার দায়িত্ব ছিল না। গোয়েন্দা হিসেবে যাইনি।
আইনজীবী : ভান্ডারিয়া এলাকায় কে গোয়েন্দার দায়িত্বে কে ছিলেন?
সাক্ষী : খেয়াল নেই।
আইনজীবী : কাউখালি, নাজিরপুর, স্বরূপকাঠী এলাকায় গোয়েন্দা কারা ছিলেন তাও আপনার মনে নেই?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : বরিশাল জেলার রাজাকার কমান্ডার কে ছিলেন বলতে পারবেন?
সাক্ষী : বলতে পারব না।
আইনজীবী : জিয়ানগর উপজেলা কোন সময় হয় বলতে পারবেন?
সাক্ষী : খালেদা জিয়া সরকারের সময়।
আইনজীবী : প্রথম বার না দ্বিতীয়বার?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : শঙ্করপাশা কি জিয়ানগর উপজেলায় পড়েছে?
সাক্ষী : কিছু অংশ আছে জিয়ানগরের পাশে।
আইনজীবী : শঙ্কর পাশার পিস কমিটির সভাপতি সেক্রেটারি কে ছিলেন?
সাক্ষী : মনে নেই। পারেরহাট কমিটিই শঙ্কর পাশার কমিটি সমন্বয় করত।
আইনজীবী : শঙ্কর পাশার পিস কমিটির সভাপতি ছিলেন একরাম খলিফা। এটা আপনি গোপন করেছেন।
সাক্ষী : সত্য নয়।
আইনজীবী : একরাম খলিফা শঙ্করপাশার চেয়ারম্যান ছিলেন?
সাক্ষী : সেটা জানি।
আইনজীবী : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আপনার এলাকায় প্রাদেশিক পরিষদে এবং জাতীয় পরিষদে মোট কতজন প্রার্থী ছিল বলতে পারবেন?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কতভোট পেয়েছিল মনে আছে?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : ১৯৭৪ সালে পিরোজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান কে ছিলেন মনে আছে?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : আব্দুস সালাম, পিতা নবাব আলী, গ্রাম উমেদপুর। একে চেনেন?
সাক্ষী : হ্যাঁ
আইনজীবী : আস্রাব আলী, পিতা মৃত সেকেন্দার আলী, গ্রাম হোগলাবুনিয়া। তাকে চেনেন?
সাক্ষী : চিনি না।
আইনজীবী : চিত্তরঞ্জন তালুকদার, গ্রাম উমেদপুর। একে চেনেন?
সাক্ষী : চিনতাম।
আইনজীবী : তিনি কি দেশে থাকেন?
সাক্ষী : মারা গেছেন।
আইনজীবী : কোন সালে?
সাক্ষী : এক বছর আগে।
আইনজীবী : ইউসুফ হাওলাদার, পিতা মোতাহার আলী, শঙ্করপাশা। তাকে চেনেন?
সাক্ষী : মনে করতে পারছি না।
আইনজীবী : আবুল বাশার মন্টু, পিতা মৃত এমদাদুল খান খোকন। একে চেনেন?
সাক্ষী : চিনি।
আইনজীবী : মিজানুর রহমান, পিতা আস্রাব আলী হাওলাদার। তাকে চেনেন?
সাক্ষী : চিনি।
আইনজীবী : তিনি কি দেশে আছেন?
সাক্ষী : মাঝে মাঝে দেখি।
আইনজীবী : পিরোজপুর আদালতে আপনি আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিলেন তাতে এদের সবাইকে আপনি সাক্ষী মেনেছিলেন এ কথা সত্য?
সাক্ষী : হ্যাঁ।
আইনজীবী : মাহবুব হোসেন, পিতা মান্নান হোসেন। তাকে চেনেন?
সাক্ষী : চিনি না
আইনজীবী : জাহাঙ্গীর পসারী, পিতা- সইজুদ্দীন পসারী। তাকে চেনেন?
সাক্ষী : চিনি।
আইনজীবী : একই লোকের আরেক ছেলে কাঞ্চন পসারীকে চেনেন?
সাক্ষী : না
আইনজীবী : হরিপদ মিস্ত্রি, চাদব চন্দ্র, মোজাহার খান, খবির হাওলাদার এদের চেনেন?
সাক্ষী : খেয়াল নেই।
আইনজীবী : আপনি ২/২/২০১১ তারিখ থানা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আল শামস কর্তৃক হত্যা ধর্ষণ, লুণ্ঠন অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়ে সংশোধনী এনে।
সাক্ষী : হ্যাঁ।
এরপর আরো দু’য়েকটি প্রশ্ন করার পর আজ তিনটায় আদালতের কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। আগামীকাল আবার সাক্ষী মাহবুবুল আলমের জেরা শুরু হবে।
সোর্স
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন