শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১১

দুনিয়ার সাড়া জাগানো কয়েক আবিষ্কারক যাদের মৃত্যু হয়েছিল তাদের আবিষ্কারেই

Franz Reichelt – Parachute Suit








Franz Reichelt (১৮৯৭-১৯১২) একধরনের suit তৈরি করেছিলেন,যা পরবর্তীতে প্যারাসুট উদ্ভাবনে সহায়ক হয়েছিল।তার তৈরি suit টার নাম ছিল 'Flying Tailor',অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া এই ফ্রেঞ্ছম্যান তার তৈরি 'Flying Tailor' নিয়ে প্রথম জন্সম্মুখে হাজির হওয়ার জায়গা নির্ধারণ করেছিলেন আইফেল টাওয়ারকে।১৯১২ সালের ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি আইফেল টাওয়ার থেকে তার 'Flying Tailor' নিয়ে লাফিয়ে পড়ার কথা ছিল একটা ডামির,কিন্তু হটাত করে Reichelt সিদ্ধান্ত নিলেন,তিনি নিজেই 'Flying Tailor' পরিধান করে লাফ দিবেন।

কিন্তু তার বিশ্বাস আর উদ্ভাবন দুইটাই কেন জানি তার পক্ষে ছিলনা সেদিন,লাফ দেবার পর কাজ করেনি তার 'Flying Tailor' ,১৮৭ ফুট উচু থেকে সোজা ভুপাতিত হন অসংখ্য মানুষের সাম্নে।দ্রুত তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে কিন্তু ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন তাকে।পরে তার 'Flying Tailor' কেই মডিফাই করে বানানো হয় প্যারাসুট।



Max Valier – Liquid-Fueled Rocket Engine



Max Valier (১৮৯৫-১৯৩০) ছিলেন জার্মানির rocketry science এর একজন অগ্রসৈনিক এবং Verein für Raumschiffahrt ("Spaceflight Society") র প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম সদস্য।আর এই Verein für Raumschiffahrt ("Spaceflight Society") র সদস্যদের অবদানই সবথেকে বেশী আজকের spaceflight তৈরিতে।
১৯৩০ সালে ঐ সোসাইটি কাজ করছিল liquid-fueled rockets নিয়ে,আর প্রথম রকেট কারটির চালকও ছিলেন তিনি।রকেট কার সফলভাবে চালানোর প্রায় ১মাস পর ১৯৩০ সালের ১৭ই মে Max Valier বার্লিনের ল্যাবে কাজ করছিল rocket Valier নিয়ে,কিন্তু হটাত লিকুইড ফুয়েলে আগুন ধরে সেটা বিস্ফোরিত হয় আর একটা ধাতব দণ্ড pulmonary artery তে বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন এবং মারা যান কিছু সময় পরেই।


Otto Lilienthal – Glider



Otto Lilienthal (১৮৮৪-১৮৯৬) কে বলা হয় 'Glider King', জার্মানির এই উদ্ভাবক ছিলেন একজন aviation pioneer এবং সফলভাবে gliding flights পরিচালনাকারী।



Otto Lilienthal এর gliding flights সফল হওয়ার পর বিজ্ঞানী এবং সাধারণ মানুষ প্রচন্ডভাবে বিশ্বাস করতে থাকে আকাশে ওড়ার যানও তৈরি সম্ভব।Lilienthal হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি heavier-than-air নামক aircraft আকাশে উড়াতে সমর্থ হয় আর যারজন্য মিডিয়াতে পরিচিতি পায় 'Father of Flight' নামে।রাইট ভ্রাতারাও তার কাজ অনুসরন করেছিল এবং তাদের অনুপ্রেরণা হিসেবেও তাকে সম্মান দেখিয়েছিল।প্রায় ২০০০ বারেরও বেশিবার ওড়ার পর ১৮৯৬ সালের ৯ই আগস্ট তার glider ভেংগে পড়ে ৫৬ ফুট উচু থেকে, এতে তার মেরুদন্ড ভেঙে যায় এবং তার পরের দিন মৃত্যুবরণ করেন।মৃত্যুর সময়ে তার শেষ বাক্য ছিল Sacrifices must be made". 




Harry K. Daghlian, Jr. and Louis Slotin – Demon Core



আমেরিকার Harry K. Daghlian, Jr.(১৯২১-১৯৪৫) আর কানাডার Louis Slotin (১৯১০-১৯৪৬) ছিল এটমিক গবেষক এবং দুজনই একই ধরনের দুর্ঘটনায় রেডিয়েশনে মারা যায় এটম বোম নিয়ে কাজ করার সময় Los Alamos lab in New Mexico তে।



১৯৪৫ সালের ২১শে আগস্ট Daghlian এর হাত থেকে tungsten carbide brick পড়ে যায় plutonium bomb core এর উপর, ফলে ঘটে যায় রেডিয়েশন।দুর্ঘটনার ২৫ দিন পর মারা যান তিনি।
Louis Slotin এর হাতের স্ক্রু-ড্রাইভারটি হাত থেকে পড়ে যেয়ে সৃষ্টি হয় রেডিয়েশন,১৯৪৬ সালের ২১শে মে।৯দিন পর মারা যান তিনি।আর তাদের মৃত্যুর কারনে প্রজেক্টির নাম রাখা হয় 'Demon Core' 



Jean-François Pilâtre de Rozier – Roziere Balloon



ফরাসী Jean-François Pilâtre de Rozier (১৭৫৪-১৭৮৫) দুইটা ঘটনায় স্মরণীয়। একটি হল সে ও Marquis d'Arlandes প্রথম বেলুন ফ্লাইট উদ্ভাবন করে সফল ভাবে আকাশে উড্ডয়ন করেন ১৭৮৩ সালের ২১শে নভেম্বার এবং ১৭৮৫ সালের ১৫ই জুন সে ও Pierre Romain হলেন প্রথম আকাশে বিধ্বস্ত হয়ে মারা যাওয়া আরোহী।



Montgolfier balloon ছিল মানুষ বিহীন প্রথম বেলুন কিন্তু সেটা লম্বা সময় উড়তে পারতোনা।de Rozier উদ্ভাবন করেন Roziere Balloon যেটায় হাইড্রোজেন এবং হিটেড লিফটিং গ্যাস দুইটাই ব্যবহার করা যেত।Roziere Balloon সফল ভাবে উড্ডয়নের পর de Rozier এবং Pierre Romain মিলে সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেবার।১৭৮৫ সালের ১৫ই জুন শুরু হয় তাদের যাত্রা, কিন্তু হটাত প্রচণ্ড এক ঘূর্ণি বাতাস তাদের দুইজনকেই ছিটকে ফেলে দেয় বেলুন থেকে আর আগুন ধরে যায় বেলুনটায়।১৫০০ ফুট উচু থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাদের।

Horace Lawson Hunley – CSS H.L. Hunley Submarine



Horace Lawson Hunley (১৮২৩-১৮৬৩) ছিল আমেরিকার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার যিনি hand-powered submarines নির্মাণ করেন এবং তাতেই তার মৃত্যু হয়।
সাবমেরিনটি তৈরির পরেই ঘটে দুর্ঘটনা,এক ক্রুর ভুলে হ্যাচ খুলে চলার সময় একটি জাহাজ পাশ কাটিয়ে গেলে ডেউতে পানি ঢুকে যায় সাবমেরিনে আর মারা যায় পাঁচজন।এরপর ১৮৬৩ সালের ১৫ই অক্টবার Hunley নিজেই সাবমেরিনটি চালানোর সময় সেটা ডুবে যায় আর সে সহ আটজন ডুবে মারা যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ