সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১১

চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া যান, অঙ্গার হয়ে দেশে ফিরুন

গলব্লাডারের পাথর অপসারণের অপারেশন করতে কোলকাতার এএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মুন্সিগঞ্জের গৌরঙ্গ মন্ডল। দুঃখজনকভাবে তাকে লাশ হয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে। এটি বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য দুঃখজনক।

আমি যতদুর জানি, ওই অপারেশন বাংলাদেশে সাফল্যের সঙ্গে হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। তাহলে কেন ইন্ডিয়া গমন? 

অনেকে হয়তো বলবেন, এএমআরআই হাসপাতালের ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা। কিন্তু আমি বলবো, নিছক দুর্ঘটনা হলে হাসপাতালটির লাইসেন্স বাতিল হতো না কিংবা এটির সাত পরিচালককে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হতো না। 

আমি বলতে চাইছি, ইন্ডিয়ার বেশির ভাগ হাসপাতালই শুধুমাত্র টাকার ধান্ধায় রয়েছে। রোগির নিরাপত্তার কোন চিন্তা তাদের নেই।

আজ খবর এসেছে, ইন্ডিয়ার আরো বহু হাসপাতালের অবস্থা তথৈবচ..।
১২ ডিসেম্বর (রেডিও তেহরান) : কোলকাতার নামকরা উডল্যান্ড হাসপাতালও নিরাপত্তার দিক থেকে বিপজ্জনক। বিশেষ করে এ হাসপাতালটি সম্ভাব্য অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে এএমআরআই ' হাসপাতালের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ। গত শুক্রবার এএমআরআই হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় অন্ততঃ ৯১ জন নিহত হওয়ার পর উডল্যান্ড হাসপাতালের বিষয়ে এ তথ্য প্রকাশ হলো। এএমআরআই হাসপাতাল দুর্ঘটনার পর গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য এবং কোলকাতা মহানগরী ফায়ার সার্ভিসের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দেবপ্রিয় বিশ্বাস আজ এ কথা জানিয়েছেন। তদন্ত কমিটি আজ প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে উডল্যান্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। 
এএমআরআই হাসপাতালে আগুন লাগার পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কোলকাতার সব হাসপাতাল পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দক্ষিণ আলীপুরের উডল্যান্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটি। তবে, এ ধরনের নামকরা অন্য হাসপাতালগুলোর কি অবস্থা তা এখানো জানা যায়নি। 
দেবপ্রিয় বিশ্বাস জানান, উডল্যান্ড হাসপাতালে যাওয়ার পথ অত্যন্ত সরু এবং কোনো কারণে আগুন লাগলে সেখানে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছানো খুবই কষ্টকর হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফায়ার সার্ভিসের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রও নেয়নি বলে জানান দেবপ্রিয় বিশ্বাস। এ ছাড়া, হাসপাতালে ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম থাকলেও তা চালু করা হয়নি। তদন্ত কমিটির এসব বক্তব্যের বিষয়ে উডল্যান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। 
শুক্রবারের অগ্নিকাণ্ডে যে ৯১ জন রোগী মারা গেছেন তাদের মধ্যে গৌরাঙ্গ মণ্ডল নামে এক বাংলাদেশীও ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তবে, কোলকাতায় চিকিৎসা ব্যবস্থা বিশেষ করে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়ে এরইমধ্যে দেশে-বিদেশে প্রশ্ন উঠেছে। এর কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি শিশু হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসার অভাবে বহুসংখ্যক শিশু মারা গেছে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ