শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১১

একটি ভবিষ্যত-বাণী কিংবা পুনরায়, অন্য এক সম্রাজ্ঞীর প্রতি

একবার তুমি নিজেরই কানে শুনতে চেষ্টা করো
সব কিছু দেখে নিতে চাও, নিজেরই বিশ্বস্ত দুই চোখে-
দেখবে, যেখানে আছে পুষ্পোদ্যান, ভেবে, তুমি
আহ্লাদে ফেটে পড়েছিলে; সেখানে সুতীক্ষ্ণ কাঁটা
বিষমাখা সুচের মতন, ঝলমল করে। আহ! প্রিয়তমা,
নদীর ভেতরে কোনও জল নেই, বালু ও পাথর কাঁদে;
এই জলপথে, কীভাবে সম্ভব হলো, ওরকম
প্রমোদভ্রমণ? সেই কথা ভেবে, তুমি ভয় আর শিহরণে
কেঁপে উঠবে নিজেরই ভেতরে।

ফুল আর কাঁটা-
দুটোরই তো আমাদের আছে প্রয়োজন!

তোমার চতুর্দিকে মৌমাছি গুঞ্জরণ হয়ে
যত যত চাটুকার সারাক্ষণ ঘিরে বসে থাকে-
ওইসব সম্মোহন থেকে শুধু একবার বাহিরে দাঁড়াও!
যা কিছু শোনার শুধু একবার শুনে নাও, অবসরপ্রাপ্ত
ওই তোমার নিজেরই দুটি কানের আশ্রয়ে;
যা কিছু দেখার, দ্যাখো, পুরাতন সাবলীল চোখে!

দেখবে, এ শাদাবৃষ্টি নয়; বিরল সবুজ জুড়ে 
অবিরল রক্তিম মেঘ ঝরে পড়ে;

বাঙলার সব পাখি বৈরিতা নিয়ে ফিরে গেল, 
দিগন্তের দিকে, কোনও অভিমানী অরণ্যের পাতার গোপনে;
ঝরে গেল অসংখ্য সবুজ বনভূমি; বহু গাছ
বন্ধ্যা-কাঠের মত, এখানে ওখানে আজ
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদে; এর সবই রোদন-ক্রন্দন, 
কিছুতেই আগামীর বনায়ন নয়!
একবার তুমি নিজের পায়েই দাঁড়াতে চেষ্টা করো
দ্যাখো, নিচের জমিন কত দূরে সরে গ্যাছে...
নিজেরই ভেতরে তুমি কত বেশি অ-তুমি হয়েছো!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ